আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতের আসন্ন ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যের কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের এক জনসভায় অংশ নিয়ে মোদির তীব্র সমালোচনা করলেন মমতা।
বক্তৃতার শুরুতে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান-সহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদির বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে, সাধারণ মানুষ ব্যাংকে রাখা টাকা আর তুলতে পারবেন না। কারণ মোদির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা এক লাখ টাকা বেধে দিয়েছেন।
মমতা বলেন, জেটলি বলছেন, এক লক্ষ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। কিন্তু এটা ঠিক করার ওরা কে? তিনি বলেন, মোদির তিনটি গুণ; লুট-দাঙ্গা-মানুষ খুন।
আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার সংস্কার নিয়েও সরব হন তৃণমূলের এই নেত্রী। তিনি বলেন, আসামে ২২ লাখ হিন্দুর নাম বাদ দিয়েছে। ২৩ লাখ মুসলমানের নাম বাদ দিয়েছে। জীবনে বাংলায় এনআরসি করতে দেব না।
মমতা বলেন, যার সারা শরীরে রক্তের দাগ, সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছে এটা লজ্জার। এখন মানুষই বলছে চৌকিদার চোর হ্যায়।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোদির উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন মমতা। তিনি বলেন, দুই কোটি লোকের চাকরি চলে গেছে। ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে। গো-রক্ষার নামে মানুষ মারছে। কী কাজ করেছেন এগুলো ছাড়া?
মমতার আশঙ্কা, বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেবে, থাকবে না ভোটাধিকারের ক্ষমতা। সেই চক্রান্তই বিজেপি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী।