লিভার সিরোসিস একটি মারাত্মক ও অনিরাময়যোগ্য রোগ। এতে যকৃৎ বা লিভারের কোষকলা এমনভাবে ধ্বংস হয়ে যায় যে তা সম্পূর্ণ বিকৃত ও অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে যকৃতের যেসব স্বাভাবিক কাজ আছে, যেমন বিপাক ক্রিয়া, পুষ্টি উপাদান সঞ্চয়, ওষুধ ও নানা রাসায়নিকের শোষণ, রক্ত জমাট বাঁধার উপকরণ তৈরি ইত্যাদি কাজ ব্যাহত হয়। দেখা দেয় নানাবিধ সমস্যা। ধীরে ধীরে এই রোগ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় মানুষকে।
অনেক ক্ষেত্রেই লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগী লিভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। সমস্যা শুরু হয় যখন রোগটি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তাই নিচের লক্ষণগুলো থাকলে অবহেলা না করে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি…
প্রাথমিক পর্যায়ের লিভার সিরোসিস বা কম্পেনসেটেড সিরোসিসের লক্ষণ
দুর্বলতা অনুভব করা
সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া,
দাঁতের মাড়ি বা নাক থেকে রক্ত পড়া,
পেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়া,
জ্বর জ্বর ভাব,
ঘন ঘন পেট খারাপ হওয়া ইত্যাদি
মারাত্মক পর্যায়ের লিভার সিরোসিস বা ডিকম্পেনসেটেড বা অ্যাডভান্সড সিরোসিসের লক্ষণ
পায়ে-পেটে জল চলে আসা,
জন্ডিস হওয়া এবং রোগী জ্ঞানও হারাতে পারেন,
রক্তবমি ও পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়
মারাত্মক পর্যায়ের লিভার সিরোসিস বা ডিকম্পেনসেটেড বা অ্যাডভান্সড সিরোসিসের লক্ষণ:
১) ফুসফুসে পানি আসা,
২) কিডনি ফেইলিউর বা কিডনির কার্যক্ষমতা হারানো,
৩) শরীরের যে কোনও জায়গা থেকে অতিরিক্ত এবং নিয়ন্ত্রণবিহীন রক্তপাত ইত্যাদি।
উল্লেখিত লক্ষণগুলো লক্ষ্য করলে একটুও দেরি না করে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।