যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হত্যা বরখাস্ত কনস্টেবলসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড


টাঙ্গাইলে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার দায়ে বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল স্বামীসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কালিহাতী উপজেলার হিন্নাইপাড়া গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল আবদুল আলীম ওরফে সুমন (৩২) এবং তাঁর বন্ধু একই গ্রামের শামীম আল মামুন (২৯)।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি একেএম নাছিমুল আক্তার বলেন, আলীম শিল্প পুলিশে কর্মরত অবস্থায় ২০১১ সালের ৬ মে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফলিয়ারঘোনা গ্রামের সুলতান আহমেদের মেয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সুমির বাবা তিন লাখ টাকা দেন। দুই লাখ টাকা বাকি ছিল। যৌতুকের বাকি টাকার জন্য আলীম প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী সুমিকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

২০১২ সালের ২০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আলীম তাঁর স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ঢাকার তুরাগ থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে শামীম আল মামুনের সহায়তায় হত্যা করেন।

আবদুল আলীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ব্যাপারে নিহত সুমির মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় আলীম ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঘটনার পর আবদুল আলীমকে পুলিশ কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। আজ রায় ঘোষণার পর দুজনকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।