রাতে জানা যাবে কবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

Banglashangbad

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষ (২০১৯-২০) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় কাটছে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৭০ হাজার ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর। কবে বা কখন তাদের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

পরীক্ষার্থীদের অনেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইছেন কখন ফলাফল প্রকাশিত হবে। সরকারি কলেজের তালিকায় তার বা তাদের নামটি থাকবে কি না।

ফলাফল প্রকাশের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক আহসান হাবীব দুপুরে জানান, গত রাত থেকে বিরতিহীনভাবে ইন্টেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন (আইসিআর) মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা উত্তর ও প্রশ্নপত্র স্ক্যান করছেন।

কবে নাগাদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যথাসম্ভব দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করতে চান। তবে গত বছর পর্যন্ত শুধু উত্তরপত্র (এ-৪ আকারের কাগজ) স্ক্যান করা হতো। আকারে ছোট হওয়ায় এতে সময় কম লাগতো। কিন্তু এবার ভিন্ন পদ্ধতিতে ও ভিন্ন মেশিনে উত্তর ও প্রশ্নপত্র উভয়ই স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে।

তাছাড়া এবার আগের তুলনায় বড় আকারের (এ-৩ আকারের কাগজ) আইসিআর মেশিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ কারণে সময় বেশি লাগছে। আজ রাতে হয়তো বলা যাবে কবে বা কখন নাগাদ ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে পৃথক দুটি টিম উত্তর ও প্রশ্নপত্র স্ক্যান করে দেখছেন। নির্ভুলভাবে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই দিন-রাত পরিশ্রম করছেন বলে জানান পরিচালক চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন অধ্যাপক আহসান হাবীব।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর ছিল।

এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি ৪ হাজার ৬৮টি ও বেসরকারি ৬ হাজার ৩৩৬টিসহ ১০ হাজার ৪০৪টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন।