রাত পোহালেই রাকিবের অপারেশন, ৩০ হাজার টাকা প্রয়োজন


বাড়ির পাশে খেলা করার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় সাত বছরের শিশু রাকিব। আঘাতে তার মাথার বন্ড ভেঙে তিন টুকরো হয়ে যায়। বর্তমানে সে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের ১২নং বেডে চিকিৎসাধীন।

আগামীকাল মঙ্গলবার তার অপারেশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সারাওয়ার মোরশেদ। এখন পর্যন্ত ছেলের অপারেশনের ওষুধ কেনার টাকা জোগাড় করতে পারেননি হতদরিদ্র তার হতদরিদ্র বাবা। এতে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

রাকিব দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সহজপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে। গত ২৮ জানুয়ারি সে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। ওই দিনই তাকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের ইউনিট -২ এ সহকারী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা. মো. হাবিবুল হক চৌধুরীর অধীনে ভর্তি করা হয়। সেদিনই তার মাথায় সেলাই করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে এক্স-রে ও সিটিস্কেন করা হয়। পরে তাকে ওই ওয়ার্ডের নিউরো সার্জারি বিভাগে রেফার্ড করা হয়।

রাকিবের প্রসঙ্গে ডা. মো. হাবিবুল হক চৌধুরী বলেন, আগামীকাল রাকিবের অপারেশন। ইনশাল্লাহ সে সুস্থ হয়ে যাবে।

রাকিবের বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে রাকিবকে সরকারি যেসব সুবিধা দেয়া যায় সবগুলোই দেয়া হচ্ছে। তারপরও অনেক ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। সব দামি-দামি ওষুধ। যা কেনার ক্ষমতা আমার নেই।

তিনি বলেন, অন্যের জমিতে চাষ করে কোনো রকমে সংসার চলে। অনেক কষ্টে সন্তানদের বড় করছি। তার চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিভিন্নজনের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করছি। অনেকে বিশ্বাস করছে, অনেকে আবার প্রতারক বলছে। সব মিলে খুব বিপদে আছি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ ওষুধ লাগছে তা কেনার ক্ষমতা তার নেই। অপারেশনের ওষুধ কেনাসহ আরও অনেক খরচ আছে। কম হলেও আরও ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। কেউ সহযোগিতা করলে ছেলেটার পুরো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম বলে জানান রাকিবের বাবা আজিজুল ইসলাম।

রাকিবকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে তার বাবা আজিজুল ইসলামের ০১৭৩৮০০৭৩৯০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।