ডেস্ক রিপোর্ট :: মোট ভোটারের সংখ্যা মেরেকেটে ৭০০। কিন্তু ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের নির্ভর করতে হয় গাধার উপর। পেন্নাগারামের ধর্মপুরী লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কোট্টুর গ্রামে বছরের পর বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে। লোক নেই। গাড়ি চলাচলের রাস্তা নেই। তাই গাধার পিঠে করে ইভিএম নিয়ে আসা হয় ভোটকেন্দ্রে। চারটি গাধার নাম আবার তামিল সুপারস্টারদের নামে। কারও নাম রজনী, তো বাকি তিনটির নাম কমল, অজিত ও বিজয়।
কোট্টুর গ্রামে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই। তাই নির্বাচন কমিশনের বড় ভরসা এই চারটি গাধা। যাদের পিঠে করে ইভিএম পাঠানো হয় ভোটকেন্দ্রে। পার্শ্ববর্তী কারাগুর গ্রামের বাসিন্দা সি চিন্নাস্বামী এই চারটি গাধার মালিক। তিনি বলছিলেন, ‘১৯৭০ থেকে নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার কাজ করছি। আর তা সম্ভব হচ্ছে আমার গাধাগুলির জন্য। তা না হলে গ্রামবাসীরা ভোট দিতে পারবে না।’ নির্বাচন কমিশন এক দিনের জন্য প্রতি গাধা পিছু ২০০০ টাকা করে দেয় চিন্নাস্বামীকে। যেমন বুধবার সন্ধেয় ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পৌঁছে দিয়েছে গাধাগুলি। আবার বৃহস্পতিবার ভোট মিটে যাওয়ার পর ইভিএম মেশিনগুলি নিয়ে ৪ ঘণ্টা পথ অতিক্রম করে নিকটবর্তী হাইওয়েতে পৌঁছে দিয়েছে গাধাগুলি। তারপর সরকারি গাড়িতে ইভিএম নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণগিরিতে আবার সরকারী কর্মীরা ইভিএম মাথায় করে নিয়ে গেছেন ভোটকেন্দ্রে। সেখানেও গ্রামের ভিতরে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। এই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে পাকা রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়নি। এই গ্রামেও প্রায় ৭০০ ভোটার রয়েছে।