শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ বহাল


আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তা বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

রোববার (১৮ আগস্ট) হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে আদালত আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে এ–সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে শহিদুল আলমের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মার্চ হাই কোর্ট রুল দেন। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন, যা আজ রোববার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন এ এফ হাসান আরিফ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়না হাসান, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, হাই কোর্ট ওই মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে এ–সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে পক্ষগণকে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ১০৭ দিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম গত বছরের ২০ নভেম্বর মুক্তি পান।

২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ৬ আগস্ট পুলিশ তাঁকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *