শাবিতে বর্ণিল সমাবর্তন, গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস


রাত পোহালেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় সমাবর্তন। সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে পুরো ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসে আগেভাগেই বইছে উৎসবের হাওয়া। ইতোমধ্যে সমাবর্তনের কস্টিউম সংগ্রহ করেছেন গ্র্যাজুয়েটরা। এ নিয়ে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাস।

আগামীকাল বুধবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। এছাড়া সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

তবে মূল অনুষ্ঠানের আগেই ক্যাম্পাসজুড়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা সমাবর্তনের গাউন ও ক্যাপ পরিধান করে দলবেঁধে, পরিবার-পরিজন নিয়ে মনের আনন্দে ক্যাম্পাসে বিচরণ করছেন। সব জায়গায় উড়ছে কালো ক্যাপ। অনুষ্ঠানের একদিন বাকি থাকলেও অপেক্ষা যেন সইছে না তাদের। গাউন পেয়েই মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা।

রসায়ন বিভাগের ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান। বর্তমানে তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, অনেক বছর পরে সমাবর্তন হলেও এটি আমাদের জন্য অনেক আবেগের বিষয়। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। অনেক বন্ধু-বান্ধব দেশে-বিদেশে থাকে। সমাবর্তন উপলক্ষে সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

একই বিভাগের ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থী দীপঙ্কর দাশ বর্তমানে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করছেন। তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সমাবর্তন এটি। রাষ্ট্রপতি আসবেন। ক্যাম্পাসের সিনিয়র -জুনিয়র সবার সঙ্গে দেখা হবে ভাবতেই আনন্দ লাগছে।

মা-বাবা ও স্বামীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলা বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শর্মিলা দাশ। তিনি বলেন, শিক্ষা জীবন শেষে সব শিক্ষার্থীদের একটা স্বপ্ন থাকে সমাবর্তন পাওয়ার জন্য। এই অসাধারণ মুহূর্তে পরিবারের মা-বাবা ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। সবার মতো আমিও এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।

সমাজকর্ম বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের সালমা খন্দকার সিলেটে জনতা ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। তার স্বামী শাহ মো. আশরাফ সিদ্দিকীও একই বিভাগের ২০০০-০১ সেশনের শিক্ষার্থী।

তারা বলেন, বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সমাবর্তনে এসেছি। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছি বলে খুবই ভালো লাগছে। সবার সঙ্গে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার আনন্দ উপভোগ করছি।

এবার সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭৫০ গ্র্যাজুয়েট অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে স্নাতকে চার হাজার ৬১৭ জন, স্নাতকোত্তরে এক হাজার ১২৭ জন, পিএইচডি দুজন, এমবিবিএস ৮৭৮ জন, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ছয়জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

এছাড়া স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফলধারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে আট শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেবেন রাষ্ট্রপতি। অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *