শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের দেওয়া হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সাথে উপাচার্যের পদত্যাগসহ নতুন ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুক্তমঞ্চে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত‘ ঘোষণা করেছেন।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি এবং এই ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার অনুরুধ করছি। আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বরাবর চিঠি দিব। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে এবং কোনো শিক্ষার্থী হল বা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবে না।‘
শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে গতকাল রোববার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় গতকাল রাত থেকে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের এ আন্দোলনে উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া বাকি ২টি দাবি হচ্ছে – গতকাল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং এ পরিস্থিতির জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার পর ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাঁচটি আবাসিক হল থেকে মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাজোয়া যানসহ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গতকালের সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে প্রধান করে গঠিত এ তদন্ত কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।