শাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষকের মামলা

banglashangbad

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে দুটি মামলা দায়ের করেছেন বিশ্বদ্যিালয়ের দুই শিক্ষক। গত ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে তারা এ মামলা দায়ের করেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি শাবি শিক্ষকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মাঝে স্বাস্থ্য ও গোষ্ঠী জীবন বীমা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। কিন্তু এ স্বাস্থ্য বীমার ব্যাপারে বাদী পক্ষের আপত্তি সত্ত্বেও তাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগে তারা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক মামলার বিষয়ে বলেন, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে এ দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন। তাদের মামলা নং- ১৬৫/১৯ এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলামের মামলা নং-১৬৬/১৯।

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই বলেন, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবীমা চুক্তি করে। যেটা মাত্র ২ বছরের জন্য। এমন না ১০-২০ বছরের জন্য। এ অল্প সময়ে আমি কতটুকু সেবা পেতে পারি? কিন্তু আমি এ চুক্তির সাথে সংযুক্ত হতে না চাইলেও তারা মার্চ হতে আমার বেতন থেকে টাকা কাটা শুরু করে। এ বিষয়ে আমি আপত্তি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে না নেওয়ায় আমি মামলা করতে বাধ্য হই।

সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম বলেন, চুক্তি মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন থেকে জনপ্রতি ২৭১ টাকা কাটা হচ্ছে। কর্তিত টাকার সমপরিমাণ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে ইন্স্যুরেন্সকে দেওয়া হবে। আর এ সেবা মাত্র ২ বছরের জন্য। তাছাড়া এ চুক্তির ব্যাপারে আমি অসম্মতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দরখাস্ত লিখলে তারা আমার এ দরখাস্ত আমলে নেয়নি। আবার কততম সিন্ডিকেটে আমার দরখাস্ত মঞ্জুর হয়নি সেটাও উল্লেখ করা হয়নি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি মামলা করতে বাধ্য হই।

এ বিষয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোম্পানিটি আরও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একই চুক্তি করছে। সেগুলোও ২ বছরের জন্য। এ চুক্তি শেষ হয়ে গেলে আমরা চাইলে আবারও চুক্তি করব। কিংবা এদের সেবা পছন্দ না হলে পরবর্তীতে আমরা অন্য কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তি করব। আর কততম সিন্ডিকেটে উনার (সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম) আবেদন মঞ্জুর হয়নি সেটা উনি চাইলে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জেনে নিতে পারেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *