শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, শুধু স্কুলের বই পড়ে জিপিএ-৫ পেলে তাকে দিয়ে পৃথিবীর কিছু হবে না। পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আরও অনেক কিছুই করতে হবে। তাদের বেশি বেশি আউট বই পড়তে হবে। ছবি আঁকতে হবে। গান লিখতে হবে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, হুমায়ূন আহমেদ খুব ছোটবেলা থেকেই বইপড়া শুরু করেন। যে কারণে তিনি একজন ভালো ছাত্র হতে পেরেছিলেন। তিনি শুধু একজন মেধাবী ছাত্রই ছিলেন না, তিনি একজন জাদুকরী লেখক ছিলেন। উপন্যাস-নাটক লিখেছেন। গান লিখেছেন। কবিতা লিখেছেন। তিনি খুব সুন্দর ছবিও আঁকতে পারতেন। একজন ভালো ছাত্রকে সবকিছুই পারতে হয়।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হুমায়ূনপত্নী মেহের আফরোজ শাওনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন নেত্রকোনা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের সহকারী প্রধান শিক্ষক শরীফ আনিস আহমেদের পরিচালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, হুমায়ূন আহমেদের বোন সুফিয়া হায়দার, অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা রহমান, কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র আসাদুল হক ভূঁইয়া, কেন্দুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁইয়া প্রমুখ।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসআই টুটুল, সেলিম খান, বাউল সুনীল কর্মকার, দিল বাহার খান, প্রদীপ পণ্ডিতসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।