‘আজি গাহিব কিসের গান/আজি করিব কিসের দান/ আমার যত প্রতিভা আছে/ সে তো তোমারই সম্মান’- প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে একজন কবি এভাবেই ‘গুরুবন্দনা’ জানিয়েছেন।
কোনো কোনো মানুষ শুধু মনের বন্ধ জানালা খুলে আলোর পথ-ই দেখান না, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সেই আলোতেই দাগ ফেলে চলতে শেখান। তাকে ভালোবেসেছিলাম সেদিন, যেদিন প্রথম দেখা হয়েছিল। তিনি-ই নতুন করে আমার ব্যক্তিসত্ত্বা ও বোধগুলো জাগতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
জীবন নিয়ে আমি প্রায় হতাশ-ঠিক এই সময়েই তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। তার দর্শন ও জীবনাদর্শ দেখে আকৃষ্ট হয়ে তাঁকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম সেদিন। কথা প্রসঙ্গে তিনি উপদেশ দিলেন- জীবনে কী পেলাম-এটা নিয়ে না ভেবে, ভাবতে শিখিয়েছিলেন এই ছোট জীবনে মানুষের জন্য কী করতে পারলাম, তা। সদা প্রগতির দিকে যার দৃষ্টি তিনি আর কেউ নন, তিনি আমার প্রিয় মানুষআমার জীবনের প্রিয় শিক্ষক শ্রদ্ধেয় বাবু ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশ রায় সাবেক প্রধান শিক্ষক শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, শাল্লা,সুনামগঞ্জ। ।সবার কাছে ‘হেড স্যার’ বলেই পরিচিত তিনি। ০৮ মার্চ ধীরেন্দ্র স্যারের জন্মদিন। ।
হাওর পাড়ের অজপাড়ার গ্রামে জন্ম নিলেও শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই নিজের মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশ রায়। পড়াশোনা ও নিয়মতান্ত্রিক চলাফেরার মাধ্যমে সহপাঠী ও শিক্ষকদের প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। শুরু হয় ঈর্ষণীয় ভবিষ্যত নির্মাণের পথে তার বিস্ময়কর যাত্রা। সর্বশেষ শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, শাল্লা,সুনামগঞ্জ এর প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেন। কর্মজীবন শেষ হলেও বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ধীরেন্দ্র স্যার।
দীর্ঘ কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতা ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সংস্পর্শে ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশ রায় ধীরে ধীরে নিজেকে পরিণত করেছেন একজন অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ হিসেবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার শুদ্ধ এই মানুষটির দীর্ঘ জীবন এবং সুস্থতায় ভরা আগামীর প্রত্যাশায় তাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। যত দিন দেহে আছে প্রান, আমাদের ছায়া দিয়ে যান, শুভ জন্মদিন; প্রিয় স্যার।