এই মুহূর্তে যে করোনাভাইরাস বিশ্বে সংক্রমণের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে সেটি শুরু দিকের ভাইরাসটি থেকে একেবারেই আলাদা, এমনটিই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিবিসি জানায়, চীনে প্রথম যে করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছিল তার থেকে বদলে গেছে এই মুহূর্তে সংক্রমিত হওয়া ভাইরাসটির জিনগত গঠন ও আচরণ।
বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ভাইরাসটি ‘মিউটেট’ করে ফেলেছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিশেষজ্ঞ ড. লুসি ব্যান ড্রপ বলেন, বড় কোনো পরিকল্পনা নিয়ে ভাইরাসগুলো সংক্রমিত হয় না। এগুলো ক্রমাগত পরিবর্তিত হতেই থাকে। কিছু পরিবর্তন একটি ভাইরাসকে পুনরুৎপাদনে সহায়তা করে আবার কিছু কিছু এটিকে বাধা দেয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-২ নামে ভাইরাসটি প্রথম আত্মপ্রকাশ করার পর এর জিনে কয়েক হাজার বদল ঘটেছে।
তারা বলছেন, ভাইরাসের এই পরিবর্তন ঘটেছে সম্ভবত ভাইরাসটি ইতালি পৌঁছানোর পর এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তার ৯৭ শতাংশের মধ্যে এই নতুন জিনগত পরিবর্তন ধরা পড়েছে।
ভাইরাসের জিনগত বদল অস্বাভাবিক কিছু নয়, কিন্তু এই পরিবর্তনের অর্থ কী তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন কাজ করছেন।
তবে তারা অন্তত এটুকু জানতে পেরেছেন যে এই মিউটেশন বা জিনগত পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাসের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা বেড়েছে।
ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৪৪ লাখের বেশি মানুষ।
এখনো কোনো কার্যকরি চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় এবং কোনো টিকা আবিষ্কার না হওয়ায় ভাইরাসটির সংক্রমণ কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।