ধরো; প্রতিদিনকার মতন কোন এক সকালে তোমার
ঘুম ভাঙল সেই আমার আগেই। তুমি ডাকতে
লাগলে আমাকে;—”এই শুনছো! উঠো এবার।
অভ্যাসটা গেলো না, শেষ হয়ে যাবা ঘুমাতে ঘুমাতে!”
আমাকে আলতো করে চুমু খেতে আজ আর চাইলে না। কেন জানি!
শুধু বললে;—”মুখ ধুয়ে আসো চা খেতে।”
রান্নাঘর থেকে ফিরে যখন এসে দেখলে উঠিনি এখনো,
মশারিটা সরিয়ে—রাগ করে খুলে দিলে বিছানার পাশের জানালা।
চুল আছড়াতে আছড়াতে বললে;—”কটা বাজে হুশ আছে কোন? শুনো না—কানে তালা?”
হঠাৎ বুঝতে পারলে বন্ধ হয়ে গেছে তোমার কবির হৃদস্পন্দন!
যখন অনুভব করলে, স্থির হয়ে আছে তোমার প্রিয়র বুকের জমিন—
কাঁপতে লাগলে! ঘামতে লাগলে! কিছু বলতে পারছ না ঠিক বোবা যেমন।
কি প্রশ্ন থাকবেই মনে? উত্তর তুমি পেয়েই গেছো; আর জাগবে না তোমার তুহিন।
(আগুনের নদী/২০২২)