শ্রমিক দিবস কি জানে না ইটভাটা শ্রমিকরা


ডেস্ক রিপোর্ট :: ১ মে। অধিকার আদায়ে শ্রমিকদের আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক এক দিন। সারাবিশ্বের মতো মে দিবস পালিত হচ্ছে বাংলাদেশেও। অথচ হবিগঞ্জের ইটভাটা শ্রমিকরা জানে না মে দিবস কি? তাদের কাছে মে দিবস মানে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে মিছিল করা আর সংগঠকদের দেয়া নাস্তা খাওয়া।ইটভাটা শ্রমিকদের টানা ষোল ঘণ্টা কাজ করতে হয়। তাদের নেই কোনো নিয়োগপত্র, কর্মঘণ্টা, কিংবা সাপ্তাহিক ছুটি। যদিও শ্রম আইনে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, সাপ্তাহিক ছুটি, ওভারটাইমসহ দৈনিক রেজিস্টার রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইটভাটার শ্রমিকদের জন্য তা আজও কার্যকর হয়নি। ফজরের আজানের আগেই ঘুম থেকে উঠে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন হবিগঞ্জের শতাধিক ইটভাটার শ্রমিকরা। ২০ হাজারের বেশ শ্রমিকের মধ্যে শিশু শ্রমিক আছে কয়েকশ। তারা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাঁচা ইট টানে।মেঘনা ব্রিকসের ম্যানেজার রাসেল মিয়া বলেন, ছুটি পাই না। মে দিবস মানেও জানি না। শুধু জানি ২৪ ঘন্টা কাজ করলেই মালিক বেতন দেয়।শরীয়তপুর থেকে আসা আগুনমিস্ত্রী আবুল হাশিম বলেন, এত দূর থেকে আগুনের লোক নিয়ে এসে কাজ করি, কোনো ছুটি পাই না। ঈদ পর্যন্ত আমাদের এখানেই কাজ করতে হবে।ইটভাটা শ্রমিক মো. আবুল মিয়া বলেন, কাজ না করলে তো খাবার মেলে না। তাই নিয়মিত কাজ করি। মে দিবসে আমরা কখনো কাজ বন্ধ রাখি নাই।হবিগঞ্জ ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মাসুম বলেন, ছুটি রেজিস্টারের বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো লাভ হয়নি। উল্টো বিনা নোটিশে অনেক শ্রমিকের চাকরি চলে গেছে। তবে শ্রমিকদের স্বার্থ আদায়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।