সন্দেহভাজন একজনকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ-কুলাউড়ায় যুবতীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ


বিশেষ প্রতিনিধি :: কুলাউড়া উপজেলায় এক যুবতীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ১৫ এপ্রিল সোমবার রাতে গণধর্ষণ করেছে ৭ দুষ্কৃতিকারী। ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে। এরপর আবার ফোনে ডাকলে সাড়া না দিলে ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা।
কুলাউড়া হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গণধর্ষণের শিকার যুবতীর দেয়া জবানবন্দী থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নির্যাতিতা যুবতীকে মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল দুপুরে পুলিশের সহায়তায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের নির্যাতিতা যুবতী (১৭) এর দেয়া বক্তব্য থেকে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গৌরী শঙ্কর গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে শুকুর আলী মোবাইল ফোনে কুলাউড়া পৌরসভার সামনে আসতে বলে। সরল বিশ^াসে মেয়েটি পৌরসভার সামনে আসলে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিক্সায় তোলে। এসময় সিএনজিঅটোরিক্সাতে থাকা অপর লোকজন তাকে মুখে রুমাল দিয়ে বেধেঁ নির্জন পাহাড়ী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৭জন মিলে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। রাত আনুমানিক ১১ টায় মেয়েটিকে ফেরৎ নিয়ে এসে কুলাউড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ফেলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় নিজ বাসায় ফিরে যায়। মেয়েটির পরিবার রাত ১২টায় কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকালে কুলাউড়া হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নির্যাতিতা মেয়েটি ধর্ষণের বর্নণা দেয়।
নির্যাতিতা মেয়েটি তার বক্তব্যে জানায়, ধর্ষণকালে দুষ্কৃতিকারীরা মোবাইল ফোনে দৃশ্য ধারণ করে রাখে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার হুমকি দেয়। এরপর থেকে দুষ্কৃতিকারীদের ডাকে সাড়া না দিলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয়। নির্যাতিতা মেয়েটি কেবল শুকুর আলী চিনতে পেরেছে। শুকুর আলী ও সিএনজি অটোচালক ধর্ষণের সাথে জড়িত।
ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার আমান উল্ল্যাহ জানান, ঘটনা জানার পর আমি বিষয়টি কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করি এবং নির্যাতিতার বক্তব্য গ্রহণ করি। মেয়েটি দরিদ্র পরিবারের। যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি মেয়েটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্দেহজনক একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান।