সব সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীভুক্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর


দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো যাবে না। সেই সঙ্গে দেশের সব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওই অঞ্চলের কলেজগুলো অধীভুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ হাজার, ৬০ হাজার শিক্ষার্থী। উনি বলেছেন, এটা কীভাবে হতে পারে! এটা হয় নাকি কোথাও! শিক্ষার্থীরা আসছেই, ভর্তি হচ্ছেই, দে আর সুডবি লিমিট। শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ঠিক করবেন, কতজন শিক্ষার্থী হতে পারে। ছাত্রছাত্রী বাড়ানো যাবে না। আনলিমিটেড নাম্বার স্টুডেন্ট নট অ্যালাউড।’

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এ বিষয়ে কাজ করবেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এছাড়া দেশের সব সরকারি কলেজ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব নতুন বিশ্ববিদ্যালয় আমরা বানাচ্ছি; আশা করি সুনামগঞ্জে নতুন একটা বিশ্ববিদ্যালয় হবে অচিরেই। ধরুন হলো, এর আওতায় যে কয়েকটি সরকারি কলেজ আছে, এর সঙ্গে অধীভুক্ত হবে। সরকারি কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়টির অংশ হয়ে যাবে। যেমন- ঢাকায় আছে (৭ কলেজ)। এটা সারাদেশেই করা হবে।’

মাঠ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার প্রচুর পরিমাণে করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভায় রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের মাঠ নিয়েও কথা হয়েছে একনেক বৈঠকে। এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হলো, তিতুমীর কলেজের মাঠ, মাঠই থাকবে। মাঠ যেন কেউ নিতে না পারে।’

সভায় অন্যদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *