সভাপতি হিসেবে আশফাকের প্রতিই জেলা কাউন্সিলরদের দৃষ্টি


রাত পুহাবার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন সিলেটের আওয়ামী লীগ কর্মীরা। সম্মেলন শেষে পছন্দের প্রার্থীকে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে তাদের খুবই আগ্রহ। সম্মেলন শেষে কি হয়, সমঝোতা-কাউন্সিল না ঢাকা মূখী কমিটি। পদ পদবীর আশায় যারা কান্সিলরদের দারেদারে ঘুরেছেন তাদেরও অপেক্ষার শেষ নেই। বিশাল বিশাল ব্যনার আর ফেস্টুন টানানো পুরো শহর জুড়ে। আলোক সজ্জায় প্রজ্জলিত হয়েছে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির শহর সিলেট। উদ্বেলিত ও উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে গুটা সিলেট জুড়ে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ইতো মধ্যে সিলেট আসতে শুরু করেছেন।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর এবার সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হবে সিলেট আওয়ামী লীগে। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয় ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর। ওই দিন উভয় শাখায় চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়। পরদিন ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ওই সময় সম্মেলন ছাড়াই কমিটি গঠিত হয়েছিল। সিলেট আওয়ামী লীগে সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বশেষ কমিটি গঠন হয় ২০০৫ সালে। এরপর এবার, ২০১৯ সালে কমিটি গঠনে সম্মেলন হবে। কে হচ্ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনিয়ে রাজনীতির ঘরানায় চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। অধিকাংশের মতেই এবার সভাপতির পদ আশফাক আহমদের। কারন তিনি সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচ্ছন্ন একটি মূখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি কখন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধের বিপক্ষের শক্তির প্রতি আপোষ করেননি। সিলেটের সকল আন্দোলন সংগ্রামে তার গুরুত্ব পূর্ণ অবদান রয়েছে। সেটা রাজনৈতিক বলেন আর সামাজিক বলেন।

সদর উপজেলা পরিষদে তিনি হ্যাট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান। এ উপজেলার মানুষ ৩য় বারের মত তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন তার উন্নয়নের গুরু। সাবেক অর্থমন্ত্রী তাকে এত আদর আর ভালোবাসতেন যার নমুনা দেখতে চাইলে সদর উপজেলার উন্নয়নের দিকে তাকাতে হয়। তিনি আবুল মাল আবদুল মুহিতের খুবই আস্তাভাজন ছিলে। আশফাক আহমদ ও চেয়েছিলেন তার কোন অসতর্কতায় মন্ত্রীর গাঁয়ে যেন কোন দাগ না লাগে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল অভীষ্ট লক্ষ্য বা ভিশন বাস্তবায়নে একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চান বঙ্গবন্ধু ও তার সু-যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলার প্রকৃত স্বাদ জনগনকে উপহার দিতে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আশফাক আহমদ একজন শান্তি প্রিয় মানুষ। তিনি দলের কাছে এ বয়সে মূল্যায়িত হবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে অনেকেরই নাম শোনা যাচ্ছে। তবে শেষ মেষ আশফাকই সভাপতি হয়ে যান কিনা এটাই রাজনৈতিকদের মনে দাগ টানছে। কারন আশফাক একজন কর্মীবান্ধব নেতা। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিপদ আপদে ছোটে আসেন। কাউন্সিলররা মনে করছেন আশফাক আহমদ জেলা কমিটির সভাপতি হলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ আরো সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *