৭১ বছর বয়স তার। কিন্তু বয়স তার কাছে স্রেফ সংখ্যা। তিনি এই বয়সেও ঠিক সেসব কাজই করেন যা একজন কমবয়সী করতেও দুবার ভাববে!
আর এবারও তিনি ঠিক তেমনই একখানা কাজ করলেন। দুজন নারী সমু্দ্রে নেমেছিলেন। কিছুক্ষণ পর দুই নারী ছোট একখানা নৌকায় উঠেন। এরপরই ঘটে দুর্ঘটনা। নৌকা উল্টে যায়। গভীর জলে হাবুডুবু খেতে থাকেন দুই নারী।
পর্তুগালের ৭১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দেশের পর্যটন শিল্পে অক্সিজেন জোগাতে চান। এমনিতেই করোনার জেরে পর্তুগালের পর্যটন শিল্প ধাক্কা খেয়েছে।
তাই প্রেসিডেন্ট রেবেলো কিছুদিন উপকূলবর্তী অঞ্চলে থেকে দেশের পর্যটন শিল্প চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। এদিন তিনি সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলেই ছিলেন। সেই সময় ওই দুই নারীর নৌকা উল্টে যেতে দেখেন। তারপর এক মিনিটও দেরি না করে তিনি সমুদ্রে ঝাঁপ দেন।
সাঁতরে ওই দুই মহিলার কাছে পৌঁছে যান। ততক্ষণে আরো এক ব্যক্তি ওই নারীদের কাছে পৌঁছে যান। এরপরই রাষ্ট্রপতি ও সেই ব্যক্তি মিলে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করেন।
প্রেসিডেন্ট রেবেলো জানিয়েছেন, তারা যখন ওই দুই নারীকে উদ্ধার করেন তখন তাদের পেটে প্রচুর পরিমাণে সমু্দ্রের পানি চলে গিয়েছিল। উঁচু ঢেউয়ের সামনে নৌকো সামলাতে পারেননি দুজন।
৭১ বছর বয়সী মার্সেলোর হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। তবুও তিনি ঝুঁকি নিয়ে নারীর বাঁচান। পর্তুগালে এখন তাই মার্সেলোর প্রশংসা করছেন সবাই। তবে প্রেসিডেন্ট নিজে কিন্তু অন্য ব্যক্তির প্রশংসা করেছেন। সেই ব্যক্তি জেট স্কি নিয়ে ওই দুই মহিলার কাছে পৌঁছে যান। রেবেলো তাকে দেশভক্ত বলেছেন। জিনিউজ