সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে মিথ্যাচার, অসত্য, নিকৃষ্ট, মনগড়া এবং কুরুচিপুর্ন সংবাদ পরিবেশন থেকে কমিউনিটির সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এম আই বিএ ডিসির নেতৃবৃন্দ ।
এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গত ২২শে মে শুক্রবার মিশিগান বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ককাস কর্তৃক মিশিগানে কোভিট-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ফুড বাস্কেট বিতরণ প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে ফেইজবুকে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। সত্য না জেনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে এহেন গর্হিত, মিথ্যাচার, অসত্য, নিকৃষ্ট, মনগড়া এবং কুরুচিপুর্ন সংবাদ পরিবেশনের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাই, অদ্য সোমবার (জুন ১) আমরা আমাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করে এই প্রেস রিলিজ অনুমোদন দিয়েছি।
উল্লেখ্য যে, আমরা বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ককাস (এম আই বিএডিসি) এর পক্ষে গত এপ্রিল ও মে মাস ব্যাপী আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট, হ্যামট্রামিক, ওয়ারেন, সেন্টারলায়ন, সেলভি টাউনশীপ, লেনসিং শহরের বিভিন্ন কমিউনিটি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কোভিট-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত সহস্রাধিক পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরন করেছি।
১). এপ্রিল ও মে মাসব্যাপী আমরা মিশিগানে দুটি হেলথকেয়ার ক্লিনিক সহ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের মাঝে ২,৫০০ মাস্ক বিতরন করেছি।
২). শনিবার, এপ্রিল ১৮: আমরা ড. রেদোয়ান উদ্দিন ও ড. মোস্তফা আফরের স্পনসরশীপে ড্রেট্রয়েট ও হ্যামট্রামিক শহরের ২০০ পরিবারের মাঝে বিগবয় রেস্টুরেন্টের হালাল খাবার বিতরন করেছি।
৩). মঙ্গলবার, ২১শে এপ্রিল: আমরা মিশিগান বাংলাদেশী কমিউনিটি ও বিএডিসি নেতৃন্দের আর্থিক সহায়তায় সংগৃহীত তহবিল থেকে মিশিগানের ডেট্রয়েট, হ্যামট্রামিক, ওয়ারেন, সেন্টারলায়ন, সেলভি টাউনশীপ, ও লেনসিং শহরের ৮৬ টি পরিবারের প্রত্যেককে ১ মাসের পরিমান খাদ্য সামগ্রী ঘরে পৌছে দিয়েছি।
৪). শুক্রবার, ২২ শে মে: আমরা মিশিগানের ডেট্রয়েট, হ্যামট্রামিক, ওয়ারেন, সেন্টারলায়ন, সেলভি টাউনশীপ, ও লেনসিং শহরের ৬৪টি পরিবারকে ঈদের বাজার সামগ্রী ঘরে পৌছে দিয়েছি।
৫). তাছাড়া আমরা মে মাস ব্যাপী মিশিগান বাংলাদেশী কমিউনিটি ও বিএডিসি নেতৃন্দের আর্থিক সহায়তায় সংগৃহীত তহবিল থেকে বাংলাদেশের সিলেট, কুমিল্লা, ঢাকা, চট্রগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, খুলনা সহ আরো কয়েকটি জেলায় শহর ও গ্রামে কোভিট-১৯ এ আক্রান্ত প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী সহায়তা পাঠিয়েছি।
উল্লেখ্য যে, আমরা আমাদের সংগঠন ও কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সংযুক্ত ও কমিউনিটির পরিচিত নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে মিশিগানের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী কোভিট-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ডাটা তৈরী করেছি। আমরা বাড়ী গিয়ে কোভিট-১৯ ক্ষতিগ্রস্ত এইসব পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছি যার কোন ছবি কিংবা লাইভ ভিডিও আমরা অনুমোদন করিনি। যারা ঘরে বসে আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে যৎসামান্য এই খাদ্যসামগ্রী উপহার পেয়েছেন তাদের কোন নাম ও এড্রেস আমরা প্রকাশ করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবো না।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত প্রত্যেকটি কর্মসুচী পালনকালে আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দ ও ভোলান্টিয়ারদের কিছু ছবি তুলেছি। পরে আমরা ফেইজবুকে এই কর্মসুচীগুলো নিয়ে পোস্ট দিয়েছি এইজন্যই যে যারা আমাদেরকে অনুদান দিয়েছেন তারা যেন ফিডব্যাক পান। তাছাড়া আমরা আমাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সকল ভোলান্টিয়ারদের কোভিট-১৯ এর ভয়কে জয় করে মানব সেবায় এগিয়ে আসার স্মৃতি সংরক্ষন করতেই এই ছবি তুলেছি। আমাদের নেতৃবৃন্দ ও ভোলান্টিয়ারদের এহেন মানবতার কাজ দেখে অন্যান্য ব্যক্তি বিশেষরা আমাদেরকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করবেন এই বিশ্বাস থেকেও আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দ ও ভোলান্টিয়ারদের ছবি তুলেছি। ছবি তোলার এব্যাপারে আমাদের অবস্হান ও বক্তব্য পরিষ্কার।
উল্লেখ্য যে, যার ছবি দিয়ে এই অপপ্রচার তিনি আমাদের কমিউনিটির কেউ নন। তিনি একজন রোহিঙ্গা। তিনি আমাদের ভোলান্টিয়ার হয়ে লেনসিং শহরে ৪টি রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বিতরন করেছেন। ছবিতে আমরা আমাদের স্পন্সরকে দিয়ে ভোলান্টিয়ারদের কার্ট ও কার লোডিং কর্মসুচী উদ্ভোধন করেছিলাম মাত্র। তাছাড়া আমরা আমাদের সকল ভোলান্টিয়ারদের সম্মতি নিয়েই ছবি তুলেছি। এখানে অন্য কিছুর অবকাশ নাই।
উল্লেখ্য যে, আমরা মিশিগানে শতাধিক পরিবার ও বাংলাদেশে সহস্রাধিক পরিবারের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছি।আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই যে, গ্রোসারী দোকানে কোন পরিবারের সাথে আমাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ভোলান্টিয়াদের কিছু ছবি তুলে খ্যাতি অর্জন করার হিনমন্যতা ও খায়েস আমাদের কারো নাই এবং ংঈ-Bআড্Cঽর মতো প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের ও প্রয়োজন নাই। কারন কমিউনিটির প্রয়োজনে আমরা আমাদের সংগঠনের গঠনমুলক কাজ অব্যাহত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উল্লেখ্য যে, সত্য তথ্য দিয়ে গঠনমুলক সমালোচনা করার সাংবিধানিক অধিকার আমাদের সবার যেমন আছে তেমনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে খাটো করা ও কুরুচিপুর্ন ভাষা ব্যবহার করে ব্যক্তি ও সংগঠনের চরিত্র হরনকরার মতো অধিকারও আমাদের কারো নাই। আর আমরা যা করেছি এবং ভবিষ্যতে ও সুযোগ পেলে যা করবো তা মানব সেবায় ব্রতী হয়ে একমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্যই করবো। আমাদের কাজকে ঘিরে এহেন নির্লজ্জ মিথ্যা তথ্য প্রচারের কোন সুযোগ নাই।
উল্লেখ্য যে, ফেইজবুকে যারা আমাদের ফুড বাস্কেট বিতরন প্রোগ্রামকে নিয়ে অশোভন পোষ্ট ও কমেন্ট করেছিলেন তারা সত্য তথ্য জেনে ও তাদের ভুল বুঝে পোষ্ট সড়িয়ে নিয়েছেন। এইজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। আমরা মনে করি, যে কোন ব্যক্তি ও সংগঠন কমিউনিটির প্রয়োজনে যার অবস্থান থেকে কাজ করবে – এটাই স্বাভাবিক।
আসুন, আমরা অতীতকে পিছনে ফেলে সত্যের পক্ষে দাঁড়াই।
আসুন, আমরা সাদাকে সাদা বলি আর কালোকে কালো।
আসুন, আমরা ভবিষ্যতে কিভাবে একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সহাবস্থান করবো এবং যার অবস্হানে থেকে আমাদের কমিউনিটির সেবায় কর্মসুচী পালন করবো তা নিয়ে সচেষ্ট হই।
আসুন, আমরা অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। আর যারা মিথ্যা প্রচার করে কমিউনিটিতে বিবেধ সৃষ্টি করবে তাদের বিপক্ষে আমাদের পরবর্তী জেনারেশনকে একটা সুন্দর পরিবেশ উপহার দেই।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি