সারাদেশে দুদকের ৮ অভিযান


আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী আটটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ময়মনসিংহে হতদরিদ্রের কর্মসৃজন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকে অভিযোগ আসে, ময়মনসিংহ সদরের কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় মাত্র ১০ দিন কাজ করিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

যারা টাকা উত্তোলন করেছেন তাদের তথ্যাবলি এবং নমুনা স্বাক্ষর/টিপসই সংগ্রহ করে অভিযানকারীরা। তথ্যাবলি যাচাইপূর্বক কমিশনের নিকট পরবর্তী সিদ্ধান্ত চেয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।

ময়মনসিংহ শহরে ২২০টি সড়ক বাতি স্থাপনে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে একই টিম। টিমের নিকট তথ্য আসে, মোট ২২০টি সড়ক বাতি স্থাপনে প্রায় এল কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যাতে লাইটসহ প্রতিটি খুঁটি স্থাপনে গড়ে খরচ পড়ে ৯২ হাজার টাকারও বেশি। টিম নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কর্তৃক প্রতিটি বাতির খরচ নিরূপণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ মতামত প্রাপ্তির পর কমিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া বগুড়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলার সামগ্রী ক্রয়ের অর্থ আত্মসাৎ এবং ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে, খাগড়াছড়িতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রয় না করা এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ সম্পন্ন না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে, রাজধানীতে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে পাঠ্যপুস্তক ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এবং ফরিদপুরে সরকারি জমি দখলপূর্বক মৎস্য আড়ত তৈরি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে যথাক্রমে বগুড়া জেলা কার্যালয়, রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়, প্রধান কার্যালয় ও ফরিদপুর জেলা কার্যালয় হতে ছয়টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।