২০১৭ সালের জন্য ৪২ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বিদেশে গিয়ে পরিশ্রম করে আয় করা অর্থ বৈধভাবে বাংলাদেশে পাঠিয়ে এ খেতাব পেলেন ৩৬ জন প্রবাসী।
বাকি ৬ জন বিদেশে থেকে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে ওই সব দেশে বিক্রি করে এ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। গত ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সিআইপি হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন- ইউএইপ্রবাসী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, ওলিউর রহমান, আবুল কালাম, মোহাম্মদ মাহবুব আলম, মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ, এ এইচ এম তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আখতার হোসাইন, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল করিম, ওমানপ্রবাসী মোহাম্মদ গোলাম কবির ভুইয়া, মোহা. মোছাদ্দেক চৌধুরী, মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু সাইদ, মো. রফিকুল আলম, মোহাম্মদ বাছা মিয়া।
এ ছাড়া মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, মোহাম্মদ বেলাল, কাজী শফিকুল ইসলাম, মো. তৌফিকুজ্জামান ও মো. ইলিয়াস মিয়া, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মোহাম্মদ আব্দুল করিম, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সায়ান জুবায়ের, রাশিয়াপ্রবাসী, এস এম পারভেজ তমাল ও খান আহেদুজ্জামান, কাতারপ্রবাসী মোহাম্মদ আবু তালেব, আব্দুল আজিজ খান ও আবদুল হক, অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী শহিদ হোসাইন জাহাঙ্গীর, কানাডাপ্রবাসী এম মনিরুজ জামান ও মিসেস শাহনিমা জামান, হংকংপ্রবাসী তানভীর শাহরিয়ার গণি, জাপানপ্রবাসী কাজী সারওয়ার হাবীব, সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী জেড ইউ সাইদ, চীনাপ্রবাসী মো. সেলিম মিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নেহাল রয় রহিম সিআইপি নির্বাচিত হয়েছে।
বাংলাদেশি পণ্যের সর্বাধিক আমদানিকারক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ছয় সিআইপি হলেন- ইউএইপ্রবাসী মোহাম্মদ সেলিম, নুরুল আলম, রাশিয়াপ্রবাসী মো. ফিরোজুল আলম খান, কুয়েতপ্রবাসী আবুল কাসেম, মালয়েশিয়াপ্রবাসী মো. আখতার হোসাইন এবং যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফারজানা হোসাইন নিলা।
রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান করে সিআইপি হওয়া ব্যক্তিদের সনদ, পরিচয়পত্র ও ক্রেস্ট দেয় সরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা দাওয়াত পান। সিআইপি নির্বাচিত হওয়া এই ৪২ জন আগামী এক বছর এসব সুবিধা পাবেন। সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে-তারা আগামী এক বছর সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
দেশে-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবেন।
এ ছাড়া প্রবাসী সিআইপিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমাণ, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপিদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চ্যামেলী ব্যবহার ও স্পেশাল হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধা পাবেন।