আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশের সাথে সিলেটেও শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। সারাদেশে এবার গত বছরের তুলনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমলেও সিলেট শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। সেই সাথে বেড়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও। সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমেদ সিলেটটুডেকে এ তথ্য জানান।
এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিবে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৭২ জন। ফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার।
এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও। এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতবার কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৩১টি। ফলে এবার কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ১৫টি।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯। আর কেন্দ্রে সংখ্যা ৩ হাজার ৫১২টি।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, প্রশ্নফাঁস রোধ ও এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের প্রসঙ্গে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমেদ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, গত ২ বছর যাবত এসএসসিতে কোন প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এবারও এ ব্যাপারে সতর্ক কয়েছে শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটি জানানো হবে।
মো. কবির আহমেদ জানান, ১৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উপস্থিতিতে সুস্বভাবে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
জানা যায়, পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ মোবাইল ফোন নিতে পারবে না।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হবে।
তাছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় ও শিক্ষক,অভিভাবক অথবা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হবে।
এসএসসি পরীক্ষা ২০২০ এর সময়সূচি-
https://bit.ly/2t100IB