সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় যোগদানকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সদস্য নাহিদা ও তার সহযোগিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সিলেট সদর উপজেলা মহিলাপার্টির আহবায়ক রাবেয়া বেগমসহ ৩ জন আহত হয়েছেন।
হামলার সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।
এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা পার্টির সিলেট জেলার সভাপতি নাহিদা আক্তার চৌধুরী।
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মো. সেলিম মিয়ার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
শনিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা জাতীয়পার্টির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত মহাসচিব তাজ রহমানের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে জাতীয়পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহিলাপার্টির সিলেট জেলার সভাপতি নাহিদা আক্তার চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয় ।
জাতীয়পার্টির সিলেট জেলার সম্মেলন সফলের লক্ষে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি জেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে গিয়ে ঢুকতে চাইলে জেলা জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব উসমান আলীর লোকজন তাদের বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেছেন নাহিদা আক্তার।
এক পর্যায়ে উসমান আলীর লোকজনের সঙ্গে নাহিদা ও তার লোকজনের বাক বিতন্ডা হয়। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এ সময় উসমান আলীর পক্ষের লোকজনের হামলায় সিলেট সদর মহিলা পার্টির আহবায়ক রাবেয়া বেগম, সদস্য সচিব জ্যেতি বেগম আহত হন।
এ সময় তারা বেধরক পিঠিয়ে ইকরামকেও গুরুতর আহত করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে- সংঘর্ষকালে পুলিশ লাঠিচার্জ চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
তিনি বলেন, জাতীয়পার্টির কর্মসূচিতে আমি কেন ঢুকতে পারবো না। আমার নেতৃত্বে বের করা প্রচার মিছিলটি ছিলো পূর্ব নির্ধারিত। এ ঘটনায় জাতীয় মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব উসমান আলী বলেন, এখানে কোন ককটেল বিস্ফোরিত হয়নি।
তিনি বলেন, সিলেটে মহিলা জাতীয় পার্টি দুই ভাগে বিভিক্ত। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মারামারি ঘটেছে। তবে তাদেরকে হলে প্রবেশের নিষেদ বিষয়ে তিনি বলেন, এরা বির্তকিত মহিলা, এজন্য ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ।