সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক কলেজের দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে। আহত ওই দুই ছাত্রীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মঈনুল হক কলেজের বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রী (আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নাম প্রকাশ করা হলো না) নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা কলেজে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন অধ্যক্ষ কলেজের বাগানে ছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা শিক্ষককে পরীক্ষায় পুনরায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এসময় অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রেগে যান এবং বাগানে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। তাদের কান্না ও চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা দৌড়ে আসে। এরপর তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় জয়নগর বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সদর থানার ওসি মো. শহিদুর রহমান আহত দুই ছাত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন।
এদিকে অধ্যক্ষের এই নির্মম আচরণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে জয়নগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। সেখানে তার বিচার দাবি করা হয়।
আহত এক ছাত্রী বলেন, আমি একজন এতিম মেয়ে। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছি। স্যারকে অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদেরকে কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আহত ওই ছাত্রী জানায়, প্রায় সময়ই স্যার আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বাজে কথাবার্তা বলেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, আমি তাদেরকে মারধর করিনি। শাসন করেছি।
সদর থানার ওসি মো. শহিদুর রহমান বলেন, আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দুই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বা তাদের পরিবার অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।