সেরা একাদশে সাকিব-মুস্তাফিজ


ক্রিকেট বিশ্বকাপের চলতি আসরের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে কোন কোন দল খেলছে সেমিফাইনালে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।

আর ১১ তারিখে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। আরও ছয় দল সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে নেমেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হলেও সেসব দলের অনেকেই ক্রিকেটীয় নৈপুণ্যে মুগ্ধ করেছেন ক্রিকেট বিশ্বকে।

দশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কোন ১১ জন সবচেয়ে বেশি ভালো খেলেছেন? বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের সেরা একাদশটা কেমন হতে পারে? আসুন দেখে নেওয়া যাক!

রোহিত শর্মা: পাঁচটা সেঞ্চুরির রেকর্ড করে ইনিংস উদ্বোধনে প্রথম নামটা অন্য কারও ভাবার সুযোগই দেননি ‘রো-হিট’। এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক রানের শচীনের ৬৭৩ রানের রেকর্ড টপকাতে আর মাত্র ২৭ রান বাকি রোহিতের। সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করলে তিনি হবেন বিশ্বকাপে সর্বাধিক শতরানের মালিক।

ডেভিড ওয়ার্নার: বিশ্বকাপে (৬৩৮) রান সংগ্রহের তালিকায় তিনি এখন দুই নম্বরে। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে এসে রানের খিদে যেন বেড়ে গেছে এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের।

সাকিব আল হাসান: এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে তিন নম্বরে তিনি যে ফর্ম দেখিয়েছেন, এতে অন্য কাউকে তিন নম্বরে ভাবা মুশকিল। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, সেরা একাদশে বল হাতেও দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন তিনি। আট ম্যাচে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে সাকিব এই বিশ্বকাপের সেরা অলরাউন্ডার।

বিরাট কোহলি: পাঁচটি অর্ধশত রান করে ভারতের ধারাবাহিক তিন নম্বর। কিন্তু এই দলে চারে নামতে হচ্ছে। তবে শুধু ব্যাটিংয়ের জন্য নয়, এই দলের অধিনায়কও তিনিই। এবারের বিশ্বকাপে অনেক পরিণত বিরাটকে পাওয়া যাচ্ছে।

কেন উইলিয়ামসন: ধারাবাহিক চার ও পাঁচ নম্বর এবারের বিশ্বকাপে নেই বললেই চলে। ব্যতিক্রম কেন উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়কের বিশ্বকাপে রান আট ম্যাচে ৪৮১, গড় ৯৬.২। দুটি শতরান ও একটি অর্ধশতরান নিয়ে তিনি এই দলের পাঁচ নম্বরে। দ্রুত উইকেট চলে গেলে এই দলের ভরসা হতে পারেন তিনি।

জনি বেয়ারস্টো: আক্রমণাত্মক ইংলিশ ওপেনার। প্রয়োজনে নিচের দিকে নেমেও খেলতে পারেন। এই দলের উইকেটরক্ষকও তিনি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারি এই বিশ্বকাপের সফলতম উইকেটকিপার হলেও মারকুটে ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টোকেই বেছে নেয়া হল এই দলে।

হার্দিক পান্ডিয়া: দ্রুত রান তোলার জন্য যেমন ভারতের এই অলরাউন্ডারের জুড়ি মেলা ভার, তেমনি বল হাতে পার্টনারশিপ ভাঙতেও পারদর্শী তিনি। ইংল্যান্ডের পিচে এরকম একজন পেসার অলরাউন্ডার যে কোনো দলেই কার্যকরী।

ইমরান তাহির: খেলে ফেলেছেন জীবনের শেষ ম্যাচ। তার শেষ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনালে তুলতে ব্যর্থ হলেও স্পিনারদের মধ্যে এই দলে তাকেই বেছে নিতে হবে। এই বিশ্বকাপে স্পিনাররা উইকেট নিতে সেভাবে সফল নন। নয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে স্পিনারদের মধ্যে সেরা তিনিই।

জফরা আর্চার: ইংল্যান্ডের এই সিমারের প্রচণ্ড গতি বারবার বিপদে ফেলছে ব্যাটসম্যানদের। ঘণ্টায় ১৫০ কিমি. বেগে নিয়মিত বল করে যাওয়া এই বোলারের শিকার ১৭ উইকেট। ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়া এই পেসার বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাকে না নিলে কি ভুল করতেন ইংরেজরা। এই দলেও তাই তাকে না নেয়ার ভুল করা উচিত হবে না।

মিচেল স্টার্ক: উইকেট শিকারিদের তালিকায় এ মুহূর্তে ২৬ উইকেট নিয়ে তিনি শীর্ষে। এ মুহূর্তে যে ফর্মে রয়েছেন বাঁ-হাতি এই ফাস্ট বোলার, যে কোনো দলেই প্রধান বোলার হিসেবে জায়গা করে নেবেন নিশ্চিন্তে। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা পেসারদের তালিকায় নিজের নাম ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান: এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন কাটার মাস্টার। গ্রুপ পর্বে মাত্র আট ম্যাচ খেলে ২০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা দলেও তার জায়গা পাওয়া প্রায় নিশ্চিত।