ইসলামিক স্কলার মাওলানা সৈয়দ মোকাররম বারী -ইংরেজিতে (Sayed Mokarram Bari) তিনি একাধারে তরুণদের আইডল, সুশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ বক্তা। অল্প কয়েকদিনে তিনি সব শ্রেণি- পেশার মানুষের কাছে অনেকটাই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে যে ক’জন ইসলামি চিন্তাবিদ রয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন অন্যতম।
তিনি একটি ওয়াজের বক্তব্যে কোন এক সময় নামাজ এর উদ্দেশে কথা বলেন, সৈয়দ মোকাররম বারী বলেন, “নামাজ এমন একটা নেয়ামত , যে বান্দা এই নামাজটাকে আপন করে নেবে, তার অগোছালো জীবন আস্তে আস্তে গোচালো হয়ে যাবে , তার অশান্তি মনে আস্তে আস্তে প্রশান্তির বাতাস বয়ে যেতে থাকবে, এটাই নামাজ এর বড় নেয়ামত।
ইসলামিক স্কলার সৈয়দ মোকাররম বারী,
যিনি অল্প কয়েকদিনেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ভালোবাসার সাথে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে যে ক’জন ইসলামি চিন্তাবিদ রয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনি এক অন্যতম। তিনি এমন এক আলোচক যিনি ওয়াজের ময়দানে ইসলাম কে এমন শান্তিপুর্ন ভাবে তুলে ধরেন, যার দরুন মানুষ শুধু ওনার লেকচার শুনে নাহ বরং মন থেকে তা আমল করার আগ্রহ অনুপ্রেরণা খুঁজে পায়।
মোকাররম বারীর ফেসবুক ইউটিউব সহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে এক একটি ভিডিওতে লক্ষ লক্ষ ভিউ, লাইক, ও সুন্দর সুন্দর কমেন্টস পরিলক্ষিত করা যায়। যা তার প্রতি মানুষের অগাধ ভালোবাসার নিদর্শন বহন করে। ওনার ওয়াজে অনুপ্রাণিত হয়ে বহু যুবক আজ মাদক , আত্মহত্যা এবং বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্ক সহ ইত্যাদি খারাপ কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে আনতে পেরেছে, যার আলোচনার ভক্ত মুসলিম সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনেক মানুষ আছেন যারা উনার কথাকে ফলো করেন।
সৈয়দ মোকাররম বারী- Sayed Mokarram Bari
এই আলোচক সৈয়দ মোকাররম বারী,
তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন, আল আমিন বারীয়া কামিল মডেল মাদ্রাসা থেকে। পরে চট্টগ্রাম সোবহানিয়া আলীমা মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা কামিল অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই লিখার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে রেখেছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম সিদ্দিকীয়া নেজামীয়া মসজিদে খতিব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন,
পাশাপাশি মানবতার উপকারের বিভিন্ন কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করার চেষ্টা করেন।
জনপ্রিয় আলোচক সৈয়দ মোকাররম বারীর ফেসবুক পেজ
” Sayed Mokarram Bari ” তে ওনাকে প্রায় ৯ লক্ষের উপর মানুষ ফলো করতেছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে যা ১ মিলিয়ন ছুঁয়ে যাবে। তিনি বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক মানবতার সংগঠন “তোহফা ফর ম্যানকাইন্ড” এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যেখান থেকে ভালোবাসা নিয়ে সাধ্যমতো সর্বদা গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেন।
তিনি সবার সাথে সর্বদা হাসিমুখে কথা বলেন ও আন্তরিক ভালোবাসা মায়ার প্রকাশ করেন। তিনি চান বিশ্বে মানুষ ইসলামের মানবতার মোহাব্বতের বার্তা দিয়ে নিজেদের অশান্তি অগোছালো জীবনের মধ্যে ভালোবাসার শান্তির আলো প্রজ্জ্বলিত করুক। হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি মারামারি দিয়ে নয়, বরং মনুষ্যত্ব অর্জন করে অন্যের উপকারী মানুষ হোক সবাই। তিনি অনেক সময়ে বলে থাকেন, মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক হতে হলে পরোপকারী হতে হবে। একজন অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসা, পাশে দাঁড়ানো, সহমর্মী হওয়া, শুধু নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করাই মনুষ্যত্ব।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম সহানুভূতির ধর্ম। পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহযোগিতা ইসলামের অন্যতম বিষয়। রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন, সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। তাই পরোপকারের চেতনায় কোনো শ্রেণিভেদ নেই। বড়-ছোট, ধনী-গরিব, আত্মীয়-অনাত্মীয়, স্বজাতি-বিজাতি, মুসলিম-অমুসলিম এসব ব্যবধানের ঊর্ধ্বে উঠে ইসলামের শান্তি ও সৌহার্দ্যের সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন মিলেমিশে থাকে। তার মধ্যে ভালো কিছু নেই, যে মিলেমিশে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সে-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ।