সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশের পর আলোচনায় বসতে চান ট্রাম্প!


শুক্রবার ভোরে গাড়িতে করে বাগদাদ বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি। এ হামলায় আরও সাতজন নিহত হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সোলাইমানি নিহত হওয়ার এখনও একদিন গত হয়নি। এরই মধ্যে ইরানকে খোঁচা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ ঘটনার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে না গিয়ে আলোচনায় বসার জন্য ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ইরান এ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনি। এমনকি আলোচনার কোনো সুযোগও তারা হারায়নি।’

এ টুইটের মাধ্যমে মূলত ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর আগে আজ ভোরে সোলাইমানি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে একটি টুইট দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। টুইট বার্তায় কিছু না লিখে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ছবি দেন তিনি।

জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে নতুন করে আরও উত্তেজনা বাড়বে বলে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।

জেনারেল সোলাইমানি নিজ দেশ ইরানে হাজি কাসেম নামে পরিচিত। তিনি রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন কমান্ডার হলেও অলিখিতভাবে তার পদমর্যাদা দেশটির যেকোনো সামরিক কর্মকর্তার ওপরে ছিল।

রেভল্যুশনারি গার্ডের ‘কুদস ফোর্স’ পরিচালিত হচ্ছিল সোলাইমানির নিয়ন্ত্রণে। ২১-২২ বছর ধরে বাহিনীটি গড়ে তোলেন তিনি।

‘কুদস ফোর্স’ অপ্রচলিত যুদ্ধের জন্য তৈরি একটা বৃহৎ ‘স্পেশাল অপারেশান ইউনিট’। এই ফোর্সের প্রধান কর্মক্ষেত্র মূলত ইরানের বাইরে। কুদস ফোর্স ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন সোলাইমানি।

সোলাইমানি তার বাহিনীর পুরো কাজকর্মের জন্য দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে জবাবদিহি করতেন।

হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সর্বোচ্চ প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলায়মানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

সূত্র: আরটি নিউজ


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *