হজ্বে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতেও হজ্বে হজযাত্রী পাঠাতে আমরা নিবন্ধন করার কাজ করে যাচ্ছি যাতে যদি সৌদি সরকার হজ্বের ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে হজ্বেযাত্রী পাঠাতে পারি।’
তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত এখনও না পাওয়ার কারণে হজ্বযাত্রী নিবন্ধিত সংখ্যা অনের কম হয়েছে।
যদি এবছর নিবন্ধিত হজ্বযাত্রীরা হজ্বে না যেতে পারেন তাহলে কী করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা ইতিমধ্যে হজ্বে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করে রেখেছেন তারা যদি সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে হজ্বে না যেতে পারেন তাহলে আগামী বছর তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজ্বে যেতে পারবেন।
হজ্বের জন্য যারা টাকা জমা দিয়েছেন তাদের আশ্বস্ত করে অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না। এবার হজ্বে না যেতে পারলে আগামীবার যাবেন। আগামীবার না যেতে চাইলেও তার টাকা ফেরত পাবেন। এ বিষয়ে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি।’
চলতি বছর হজ্বে যেতে আগ্রহীদের নিবন্ধণ কার্যক্রম ৩০ এপ্রিল শেষ হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।
এখন সারা বিশ্বের অবস্থা সবার জানা এবং এ পরিস্থিতিতে হজ নিয়েও অনিশ্চিয়তা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদি সরকার হজ্বের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখে তারপর যা করার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, হজ্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত যাই আসুক, যারা হজের জন্য টাকা জমা দিয়েছেন তারা প্রতারিত হবেন না।
হজ্ব এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘হজ্বের নিবন্ধন শেষ করে আমরা প্রস্তুত আছি।’
এবারের হজ্ব হবে কি হবে না বলাটা খুবই কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি সরকারে সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে এবছর হজ্ব হবে কি হবে না। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর আগামী ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) হজ্ব হওয়ার কথা রয়েছে।