স্বপ্নের কাছে বিলীন মৃত্যু ভয় ঝুঁকিপ্রবণ সিলেটি তরুণরা


প্রত্যেককেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে, এটাই বিধির বিধান। কিন্তু একটি অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হতে পারে একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই এসকল অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসী অধ্যুষিত বাংলাদেশের সিলেট অ লকে দ্বিতীয় লন্ডন বলা হয়। সিলেটের অধিকাংশ পরিবারের তরুনরা বিত্ত বৈভবের মাঝে জীবন যাপন করার কারণে লেখাপড়ার প্রতি তাদের ঝোঁক কম থাকে। সবার আগ্রহ প্রবাসের দিকে থাকায় দেশের অন্যান্য বিভাগের চেয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে সিলেট।
তাছাড়া দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান ও চাকুরী ব্যবস্থা না থাকায় বেশির ভাগ এই সিলেট অ লের বেকাররাই জীবনকে বাজি রেখে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে নানামুখী অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর দিকে ঝোঁকে পড়ছে। এ যেন মৃত্যুকে আলিঙ্গন। তাদের কাছে একটাই বিশ্বাস একজন রোজগার করলে বাকী দশ জন বসে খেতে পারবে। কিন্তু যে পরিবারে একজন লোক রোজগারের একমাত্র অবলম্বন তার যদি কিছু হয়ে যায় সেক্ষেত্রে পুরো পরিবারের হবেটা কী? সময়ের পালাবদলে আজ দেশ পাল্টাচ্ছে, দেশের অর্থনৈতিক চাকা সমৃদ্ধ হচ্ছে এই সিলেটিদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের ছোঁয়ায়। তবুও যেন থামছে না অনাকাঙ্খিত মৃত্যুমিছিল। এর প্রধান কারণ হলো গত ক’বছর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ থাকার ফলে সাগর পথে লিবিয়া-তুরস্ক হয়ে হাজারো তরুণ পাড়ি জমাতে চায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু এসকল মৃত্যু কি আদৌ কাম্য? কেন তারা জেনে-বুঝে আগুনের স্ফূলিঙ্গে পতঙ্গের মতো ঝাঁপ দিচ্ছে? কেনই বা এতো মরণপ্রবণ? প্রথমত, এটি যেন সিলেটিদের কাছে প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশে গেলে অভাব ঘুছে যাবে, এই মনোভাব। দ্বিতীয়ত, শিল্প কারখানা ও কর্মসংস্থানের অভাব। যার ফলশ্র“তি বয়ে আনে বেকারত্ব। আর এই বেকারত্বের অভিশাপই হয়ে পড়ে নানামুখী মৃত্যুর কারণ।
প্রশ্ন জাগতে পারে, দেশে কি কাজ করে কোনভাবেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব নয়? অবশ্যই সম্ভব৷ কিন্তু জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র না হওয়ায় আমাদের এখনও দেশে অনেক কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। সমাজে নিজের কাজ ও যোগ্যতার স্বীকৃতি না থাকায় অনেকটাই নিজ দেশেও পরবাসী হয়েই কাটাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে৷ যে কোনো মূল্যে সে অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাতে চান তাঁরা৷ আর তখনই একমাত্র উপায় হিসেবে সামনে আসে বিদেশযাত্রা৷
যারা উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন, তাদের মধ্যেও রয়ে যাচ্ছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা, ভয়৷ লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া যাবে তো? এ নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারছে না৷ এর জন্য প্রবাসে যাওয়ার ব্যাপারে তারা মনস্থির করে ফেলেন।
এতদ লের শিক্ষার্থীদের বৃহদাংশই চায় দেশের বাইরে গিয়ে একটা ডিগ্রি নিয়ে আসার৷ যদি এতে বাড়ে ভালো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা৷ অনেক ক্ষেত্রে বিদেশের সেই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কেমন, তাও যাচাই করতে চান না এতদ লের শিক্ষার্থীরা৷ আর একবার বাইরে গেলে ফিরে না আসার প্রবণতাও থাকে অনেক বেশি৷
ইউরোপের স্বপ্নের কাছে বিলীন যেন ওদের মৃত্যুর ভয়! যেন তাদের কাছে মৃত্যুর চেয়ে ইউরোপের স্বপ্নটাই বড়। স্বপ্নপূরণের মাঝপথে ভূমধ্যসাগরে যেখানে রচিত হয়েছে হাজার হাজার মানুষের গণকবর, এখনো এই মৃত্যুকূপ পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায়ই শত শত মানুষের সলিল সমাধি হচ্ছে। তারপরও থেমে নেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এ যাত্রা। মাঝে মাঝেই গণমৃত্যুর খবরে শিউরে উঠছে সারা দুনিয়ার মানুষ। কিন্তু এসব মৃত্যুর খবরেও ওদের নেই কোন আতঙ্ক বা শিহরণ। ‘মহাকাশ থেকে যেমন ফিরে আসার নিশ্চয়তা কম তেমনি সাগরপথ থেকে গন্তব্যে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তবু যেন মানুষ ভাগ্য বদলের আশায় মৃত্যুর কাফন বুকে জড়িয়ে ভূমধ্যসাগর জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হরহামেশাই। হাজারো মানুষের মৃত্যুর মিছিলের পথ পাড়ি দিতে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া পৌঁছানো পর্যন্ত নানা বিপদ কাটিয়ে ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর মানুষগুলো এক সময় যে নিশ্চিত মৃত্যুকূপের দিকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে যায়, সেই মৃত্যুকূপের নামই লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর।
স্বপ্নের ভূবনের হাতছানিতে মুগ্ধ হয়ে এতদ লের হাজারো তরুণরা বাড়ি ছেড়েছে স্বপ্ন গড়ার আশায়। স্বপ্নের দেশ ইউরোপে পাড়ি জমাতে ট্রানজিট রুট লিবিয়া-তুরস্কের পথ ধরেছে সিলেটের হাজারো যুবক ও তরুণ। কাজের সন্ধানে ও জীবিকার তাগিদে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কম শিক্ষিতরাও ইউরোপে যাচ্ছেন। রাজধানী ঢাকা থেকে লিবিয়া, এরপর ইউরোপের দেশ ইতালি পৌঁছানোর প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেটের একটি আদম পাচারকারী চক্র। গত এক বছর লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে সাগরে ট্রলার ডুবিতে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের প্রায় দুই শতাধিক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত ৯ মে বৃহস্পতিবার সাগর পথে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে যাওয়ায় বহু বাংলাদেশী মারা গেছেন। এরমধ্যে সিলেটের ১০ তরুণের সলিল সমাধি হয়েছে। অনেকে এখনো রয়েছেন নিখোঁজ। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে কবরের নিরবতা। চলছে শোকের মাতম।
সাগরপথে স্বপ্নের দেশে যাবার পথে লাশ হওয়া নিয়ে কথা হয় বিভিন্ন কলেজ পড়–য়া তরুণ শিক্ষার্থীদের সাথে। এ বিষয়ে কুলাউড়া সরকারি কলেজ থেকে সদ্য এইচএসসি পাশ করা মোহন আহমদ বলেন, যারা পড়াশোনা করে যোগ্যতা অর্জন করার পরও দেশে আশানুরুপ চাকুরী থেকে বি ত হয়, তারাই বিদেশের প্রতি যাওয়ার জন্য মনস্থির করে। যাদের প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা নেই তারা অবৈধভাবে সাগরপথে ইউরোপে যাবার প্রাণপণ চেষ্ঠা করে। কিন্তুু পথিমধ্যে তারা ট্রলার ডুবিতে মারা যায়। যারফলে ভঙ্গ হয় একটি ছেলের স্বপ্ন আর একটি পরিবারের আশা-ভরসা। আমিও ইতালি যাবার মনস্থির করেছিলাম। কিন্তুু বর্তমান সময়ে ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মিছিল দেখে আমি চিন্তাধারা পরিবর্তন করে ফেলেছি। পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে বৈধপথেই উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপ যেতে মনস্থির করেছি।
সিলেট এমসি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র সৈয়দ আব্দুল হামিদ মাহফুজ বলেন, দেশ থেকে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করা একজন শিক্ষার্থীর অবৈধ পথে বিদেশ গমন কোনোভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তবে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৈধ উপায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া যেতে পারে। উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে মাতৃভূমিতে নিজের সৃজনশীল মেধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরে সেবা করাই হোক সকলের ব্রত।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের ছাত্র নুরুল বারী তপন বলেন, আমরা আমাদের দেশকে যতই উন্নয়নশীল উন্নয়নশীল বলে স্লোগান দেই না কেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই এখনও অনুন্নত দেশের নাগরিকদের মত জীবনযাপন করছি। কিন্তুু তাদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় আমাদেরই কাছের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অজানা পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়। সাগর পথের মৃত্যুর মিছিলে একটি প্রাণই ঝরে পড়ে না ঝরে পরে তাদের পরিবারের সকল সদস্যের স্বপ্ন, আশা-ভরসা। ধ্বংস হয় পরিবার। এজন্য সরকারের উচিত জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া।
সিলেট এমসি কলেজের ইংরেজী বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র তাকবীর হোসাইন বলেন, বর্তমানে আমরা যারা তরুণ আছি, তারা পড়াশুনা শেষ করে প্রতিনিয়ত বেকারত্ব কে সাথে নিয়ে ঘুরছি। সরকারের পক্ষ থেকে বেকারত্ব নিরসনের কথা বলা হলেও, বাস্তবতার সঙ্গে যতটুকু কাজ হওয়ার কথা ততটুকু কি হচ্ছে? যার কারনে আমরা অধিকাংশ তরুণ হতাশায় ভুগছি, কেউ কেউ ঘর বাড়ী সব বিক্রি করে জীবনের তাগীদে ছুটে যাচ্ছি প্রবাসে। সেখানে গিয়ে ও নিজের জীবনের সর্বস্ব দিয়ে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করছে শুধু মাত্র বেকারত্ব দূর করার জন্য। যা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। কাজেই আমি সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি, বেকারত্ব দূরীকরনে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করুন।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ও প্রশাসন বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র স্বপ্নীল দাস বলেন, বাংলাদেশে এখনো লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক রয়েছে যারা বেকারত্বের কালো অভিশাপে জর্জরিত। এই বেকারত্ব দূর করতে না পারলে এই ধরণের বহু অনাকাঙ্কিত ঘটনা ভবিষ্যতে আমাদের সামনেই ঘটতেই থাকবে। এখন তো প্রায়ই শোনা যায় চাকরি না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা, আরো অনেক আত্মহত্যার ঘটনাবলি। এই ব্যাপারে আমি বলব যে, এই সব চাকরি প্রত্যাশী অভিবাসীদের অকালে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ার পেছনে রাষ্ট্র দায়ী। রাষ্ট্রকে পর্যাপ্ত পরিমান কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা দেশের ভিতরেই নিশ্চিত করতে হবে। সবশেষে একটা কথাই বলব, ‘‘ঘরে ঘরে চাকরি দাও, নইলে বেকার ভাতা দাও’’।
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স শেষ করা গণমাধ্যমকর্মী হোসাইন আহমদ বলেন, লেখাপড়া শেষ করে চাকরী না পেলেও আত্ম কর্মসংস্থান মূলক কোন প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আরো ৪/৫ জনকে চাকুরী দেবার সুযোগ থাকে। এক্ষেত্রে নিজের সদিচ্ছা এবং আগ্রহটাই বেশি প্রয়োজন। আমি বিদেশ না গিয়ে সাংবাদিকতার পাশাপাশি যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রিন্টিং লাইনের ব্যবসা শুরু করেছি এবং স্বাবলম্বী হয়েছি। সরকারের উচিৎ দেশের বেকার সমস্যা নিরসনে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা।
কুলাউড়া শাহজালাল আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষিত তরুণরা ক্রমাগত প্রবাসে যাওয়ার কারণে সমাজ ও রাষ্ট্র মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। যোগ্যতার মাপকাঠিতে সঠিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে তরুণরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে বিদেশের পথে পাড়ি জমাচ্ছে। যেসকল দালালরা তরুণদের উচ্চাঙ্খাকা ও প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা তৈরী করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক।
এ বিষয়ে কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য বলেন, উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যতিরেকে শুধুমাত্র শিক্ষা-পরোক্ষ বেকার শ্রমশক্তি তৈরী করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকল্পে তখন রাষ্ট্রের ভেতরে শ্রমশক্তি কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের জন্য দক্ষ শ্রমশক্তি হিসেবে নিজেকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন নিজস্ব প্রযুক্তি-কাঁচামাল-কারখানা ও বাজার পাশাপাশি তেমনতর কাজের উপযোগী শিক্ষা-আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও দর্শন, রাষ্ট্রের প্রয়োজন মেটানোর জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত নয় অথচ সে সব অ লে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অগ্রসর তাদের মধ্যে সিলেট অগ্রগণ্য। এ অ লের তরুণদের মধ্যে উন্নয়নের স্বপ্নকে বাস্তব পরিবেশ অনুযায়ী যেমনতর প্রেষণা তৈরী করেছে এজন্য কারখানা ভিত্তিক নিজস্ব শ্রমশক্তি কাজে লাগিয়ে জীবন ধারণ ও উন্নয়নকে গতিশীল করার যে শক্তি কাজে লাগার প্রয়োজন তদ্রুপ ক্ষেত্র নেই, তেমনতর শিক্ষাও নেই তাই এ পরিণতি আমাদের অক্ষমতার পরোক্ষ স্বারক।