মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হলো ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর প্রতি অবিচল আনুগত্য ও নজিরবিহীন নিষ্টার এমন ঘটনার জন্য বিশ্বের সকল মুসলমান ঈদুল আযহার উৎসব পালন করছেন।সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব একটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে যেমন নাজেহাল তন্মধ্যেও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ রাষ্ট্রীয় বিধি নিষেধ মেনে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করছেন।
তেমনি আমেরিকার অন্যান্য রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মত মিশিগানেও ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিশিগানের বাঙ্গালী অধ্যুষিত সিটি হ্যামট্রামেক, ডেট্রয়েট, ওয়ারেন, ট্রয়, স্টারলিং হাইটসসহ অন্যান্য সিটিতে বাংলাদেশী দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে বাংলাদেশী সহ আরব ও আফ্রিকান মুসলমানেরা ঈদের জামাতে শরিক হয়ে নামাজ আদায় করেন। ডেট্রয়েট ও হ্যামট্রামেক সিটির বায়তুল মোকারম,আল ফালাহ,আল ইসলাহ,মসজিদুন নুর,বায়তুল মামুর সহ অধিকাংশ মসজিদে সামাজিক দূরত্ব নির্দেশনা মেনে মুসল্লিরা ঈদের জামাত নামাজ আদায় করেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য রাষ্ট্রীয় বিধি নিষেধ থাকার কারণে নামাজের জন্য স্থান সংকুলান না হওয়ায় অধিকাংশ মসজিদে দুই এর অধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় রৌদ্রজ্জ্বল সকালে ওয়ারেন সিটিতে মসজিদ আল ফাতাহ ও মসজিদ আল ইহসান কর্তৃপক্ষ খোলা আকাশে ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করেছেন।
এছাড়াও দারুল উলুম মিশিগান,আল হাসান ইসলামিক সেন্টার ,সিডিআর মসজিদ,স্টারলিং হাইটস সিটির বায়তুল মামুর ,এমদা মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদে এবং অনেকেই পারিবারিকভাবে একত্রে মিলিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।তবে চিরায়ত কোশলাদি বিনিময় ছাড়াই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পারলেও মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে পারায় খুবই আনন্দিত।