স্মার্টফোন আমদানির ওপর বর্ধিত কর প্রত্যাহার দাবি


প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে আগের মতো ১০ শতাংশে রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআই’র ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

এতে বলা হয়, বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্কের ফলে স্মার্টফোন আমদানিতে মোট করের পরিমাণ ৩১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করার ফলে মোট করের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেশি। এমন কর বাড়লে দেশে আমদানিকৃত স্মার্টফোনের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। প্রস্তাবিত কর বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ স্মার্টফোন। দিন দিন এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টফোনের মূল্য বৃদ্ধির ফলে তা ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ও কর আরোপের বিষয়টি এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ব্যথিত করেছে। মোবাইল ব্যবহার কমে এলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কমবে। ফলে রাজস্ব হারাবে সরকার।

তারা বলেন, আমদানিনির্ভর এ মোবাইল শিল্পের সঙ্গে দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। স্মার্টফোন আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৭ শতাংশ করারোপের ফলে এসব পরিবারের ভবিষ্যৎ ও জীবনযাত্রার মান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএমবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি মো. হোসেন হায়দার হিরু, সোলার ইলেক্ট্রা মোবাইল বাংলাদেশের অপারেশন পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) সাইয়েদিস সাকলায়েন, ইলেক্ট্রা মোবাইলের জেনারেল ম্যানেজার মো. আবু সুফিয়ান, স্মার্ট টেকনোলজির পরিচালক মো. সাকিব, বিএমবিএর সিনিয়র সদস্য মেজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *