ডেস্ক রিপোর্ট :: রাজধানীতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী (২০) নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ)। সেইসঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।
দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান।
নেতৃদ্বয় নিহত ছাত্রের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে সরকারের কাছে জাতে চান- সড়ক সন্ত্রাসে মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে? তারা বলেন, দেশবাসী সড়কে ও গণপরিবহনে সব ধরনের অরাজকতার অবসান চায়। সেইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের কঠোর ও দ্রুত বিচারে শাস্তির ব্যবস্থা দেখতে চায়। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিবৃতিতে ন্যাপ নেতারা বলেন, সড়ক সন্ত্রাসে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক সন্ত্রাস চলছে, প্রাণ ঝরছে, রক্ত ঝরছে অহরহ। সুস্থ সবল মানুষ পঙ্গু হচ্ছে মুহূর্তে। কেউ পা হারাচ্ছে, কেউ হাত হারাচ্ছে।মৃত্যুর মিছিল, দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলছে সমানে। আর কত প্রাণ বিনাশ হলে, আর কত রক্ত ঝরলে, লাশের মিছিল আর কত বড় হলে থামবে সড়ক দুর্ঘটনা বা হ্রাস পাবে? এমন কেউ কি নেই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার? সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কি কানে তুলো দিয়েছেন, চোখ বন্ধ করে রেখেছেন? তা না হলে সড়ক মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হবে কেন? বিষয়টি মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটা শুধু সড়ক দুর্ঘটনা বলে উড়িয়ে দেবার নয়।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে পরিবহন মালিক এবং পরিবহন শ্রমিক সিন্ডিকেট সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেছে। সরকারের বিধি-নিষেধ ও বিভিন্ন নির্দেশ এভাবেই প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। ফলে সরকারের ও প্রশাসনের সব ইতিবাচক পদক্ষেপ মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সরকারের সব পদক্ষেপ ও ঘোষণা এভাবেই মাঠে মারা গেছে।