পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকার হাওর এলাকার উন্নয়নের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। হাওরের উন্নয়নের জন্য আমাদের ৪০ হাজার কোটি টাকার একটি মাস্টার প্ল্যান আছে।
শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বি-বাড়িয়া-সরাইল-নাছিরনগর আঞ্চলিক মহাসড়কটি বানিয়াচং আজমিরিগঞ্জ হয়ে সুনামগঞ্জের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকার সাথে সুনামগঞ্জের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে এবং দূরত্বও অনেক কমে যাবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের জন্য আমাদেরকে অনেক চড়াই উৎরাই পেরুতে হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা মনে করি ডিপিপি তৈরির মাধ্যমেই এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চাই। তবে আমরা কোন সময়ই কোন কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু এবং শেষ করতে পারিনা।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, পুরাতন খোয়াই নদীর প্রকল্পের বিষয়ে তার আন্তরিকতা থাকবে। আমরা ছোট বেলা থেকেই জানি খোয়াই নদী হবিগঞ্জের দুঃখ। আমরা এই খোয়াই নদীকে হবিগঞ্জের সুখ বানাতে চাই। যেহেতু এই নদীটির বেশির ভাগ অংশ ভারতে এবং তারাই এই নদীর নিয়ন্ত্রণ করে সেহেতু তাদের সাথে সমন্বয় করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। আর না হলে আমাদের টাকা নষ্ট হবে। আমরা এমনিতেই বেশি সংশয়ে থাকি পানি প্রকল্প নিয়ে। তাই যাচাই বাছাই একটু বেশি হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন বর্জ্য বেশি হয়ে গেছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোন রিসাইকেল প্রকল্প গ্রহণ করা হলে তাতে তার সহযোগিতা থাকবে। তবে দেখতে হবে অনেক জায়গায়ই এই রিসাইকেল প্রকল্প চালুর পর তা টিকে থাকে না। এর জন্য নাগরিকবোধ এবং শিক্ষার প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও এখন পার্লামেন্টে যাবে। আশা করা যায় এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী।