হাজারো শিক্ষার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’


সিলেটে হাজারো স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি তুলে দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো ‘সিলেট জেলা পরিষদ বইপড়া উৎসব’। শনিবার বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন হয়।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করা সিলেটের আঞ্চলিক সংগঠন ‘ইনোভেটর’ এই বইপাড়া উৎসবের আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে সিলেট জেলা পরিষদ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, শিল্পী, লেখকদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় গ্রন্থের নাম শেখ মুজিব। মুজিবকে না পড়লে, এই মুজিবের জীবনকে না জানলে বাঙালজনমের অতৃপ্তি রয়েই যাবে। মুজিব পাঠ ভিন্ন বাঙালি জীবন কখনোই সম্পূর্ণ হয় না। কেননা, শেখ মুজিব আর বাংলাদেশ একই বৃন্তে গাথা। আমাদের সাহসের জন্য, দ্রোহ, বিপ্লব আর সংগ্রামের প্রেরণার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব আর শৌর্যকে অন্তরে প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ মুজিবকে অধ্যয়ন জরুরি।’

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, ‘একজন আদর্শ বাঙালি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হলে সবার আগে শেখ মুজিবের জীবন, কর্ম ও আদর্শের পাঠ নিতে হয়। সে লক্ষ্যে ইনোভেটরের এ উদ্যোগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ প্রচারের বিষয়টি মাইলফলক।’

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. তাহমিদুল হক, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ, জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলকান্ত সিংহ এবং শহীদ আলতাফ মাহমুদ কন্যা শাওন মাহমুদ।

ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক, সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বইপড়া উৎসবের পথচলা নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব। ইনোভেটরের সদস্য ঈশিতা ঘোষ চৌধুরী এবং সুপ্রিয়া তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বইপড়া উৎসবে অংশগ্রহণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী কাকনপ্রিয়া গোস্বামী এবং সোবহানীঘাট মাদরাসার শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন।

আলোচনা সভা শেষে বইপড়া উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন অতিথিরা। মুজিববর্ষ সামনে রেখে বইপড়া উৎসবের এবারের আসরটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়।