চা-পাতার কেজি ১২ টাকা, মূল্য বৃদ্ধির দাবি চাষিদের

banglashangbad

পঞ্চগড়ে কাঁচা চা-পাতার মূল্য বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবিতে আবারও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। বৃহস্পতিবার সকালে ‘বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ কমিটির ডাকে শহরের শেরে বাংলা পার্কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকন, সিনিয়র সহসভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক, সহসভাপতি এবিএম আকতারুজ্জামান শাজাহান, পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান, কাজী আল তারিখসহ ক্ষুদ্র চা-চাষিরা বক্তব্য দেন। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় পাঁচশত ক্ষুদ্র চা-চাষি অংশ নেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, পঞ্চগড়ের চা-কারখানা মালিকদের সিন্ডিকেটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। মূল্য নির্ধারণ কমিটির দরও মানছেন না কারখানা মালিকরা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাথা ব্যথা নেই। বছরের শুরুতে ৩৫ টাকা থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে কাঁচা চা-পাতা বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

নতুন করে ভারত থেকে শুল্কমূক্ত চা-আমদানির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এমনটি হলে দেশের সমতলসহ চা-শিল্প পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবেন লাখো চা-চাষি ও শ্রমিক। বিশেষ করে সমতলের চা-চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ সময় ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন পঞ্চগড় কমিটির নেতারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ছয় দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন।

ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে কাঁচা চা-পাতার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, জেলায় সরকারিভাবে চা-কারখানা স্থাপন, বিদেশ থেকে অবাধে চা-আমদানি নিরুৎসাহিত করা, ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চা-প্রবেশাধিকার না দেয়া এবং সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চা-প্রবেশ বন্ধ করা, উত্তরাঞ্চলে চা-শিল্পে বিশেষ ভর্তুকি দেয়া, জেলায় দেশের তৃতীয় অকশন মার্কেট স্থাপন করা এবং পঞ্চগড়ে আঞ্চলিক টি বোর্ড কার্যালয়ে অভিজ্ঞ কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনবল নিয়োগ দেয়া।