ডেস্ক রিপোর্ট :: মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ছবি দিয়ে সাজিয়েছে হাইকোর্টের সামনের রাস্তা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা জেলা প্রশাসন এটি বাস্তবায়ন করেছে।
যেখানে সারিসারি শোভা পাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। পাশেই রয়েছে সাত বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, সিপাহী হামিদুর রহমান ও সিপাহী নূর মোহাম্মদ শেখ, স্কোয়াড্রন লিডার রুহুল আমিন এবং ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ছবি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও শোভা পাচ্ছে জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পাশে। রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাধীন বাংলার প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছবিও।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সরজমিনে হাইকোর্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাইকোর্টের সামনের রাস্তার ডিভাইডারের ওপর থাকা বিদ্যুতের খুটিতে সারিসারি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাত বীরশ্রেষ্ঠের ছবি। আর সেই বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ঘিরে রেখেছে সবুজ গাছ।
আর জাতীয় প্রেস ক্লাব ও হাইকোর্ট মোড়ে থাকা পানির ফোয়ার চারদিক ঘিরে দেয়া হয়েছে অহংকারের প্রতীক লাল সবুজের পতাকা এবং মুক্তিযুদ্ধের রক্তিম লাল পতাকা দিয়ে। তার পাশেই রয়েছে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তনদের ছবি। যে দৃশ্য দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে এমন মানুষকে সহজেই আকৃষ্ট করবে।
হাইকোর্টের সামনের রাস্তা কথা হয় ষাটোর্ধ্ব মো. আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিল স্বাধীনতার মূল কাণ্ডারি। বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বের কারণেই আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করতে পারছি। সেই স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর পাশে সাত বীরশ্রেষ্ঠের ছবি দেখে খুব ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস আসলেই বাহারি রঙিন আলোয় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সাজাতে দেখি। কিন্তু বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি দিয়ে কখনো কোনো স্থান সাজাতে দেখিনি। এবারই প্রথম বীরশেষ্ঠদের ছবি দিয়ে সাজাতে দেখলাম। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। শুধু মহান স্বাধীনতা দিবসে নয়, বছরের সব সময় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি এমন শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।
কাশেম আলী নামের অপর একজন বলেন, পানির ফোয়ারার চারদিক ঘিরে রয়েছে আমাদের অহংকারের প্রতীক লাল সবুজের পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের রক্তিম লাল পতাকা। এর মধ্যেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাত বীরশ্রেষ্ঠ এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছবি। এমন দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, বিশেষ দিবসে আমরা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যেমন স্মরণ করি এবং শ্রদ্ধ দেখায়, তেমনি তাদের আদর্শও আমাদের মনে ধারণ করতে হবে। মানুষ যাতে স্বাধীন ও মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীত দূর করতে হবে। তাহলেই জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তদের প্রতি প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে।