বিদেশ সফর জ্বালানি বিভাগে ৩ বছরে ৪৫১ জনের


জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের চলমান প্রকল্প থেকে ২০১৬-১৯ পর্যন্ত তিন বছরে ৪৫১ জন বিদেশ সফর করেছেন। এ বিভাগের ১০টি সংস্থা থেকে এ সফর করেন তারা। সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। অপ্রয়োজনীয় সফর ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশও করেছে কমিটি।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ মন্ত্রণালয়ের বিদেশ সফরের তথ্য তুলে ধরা হয়।

এর আগের অর্থাৎ কমিটির অষ্টম বৈঠকে জানানো হয়েছিল, বিদ্যুৎ বিভাগের চলমান প্রকল্প থেকে বিগত তিন বছরে মোট ২ হাজার ৯৬১ কর্মকর্তা বিদেশ সফর করেন। তবে সেই সময় সংস্থার সংখ্যা জানানো হয়নি। সংসদীয় কমিটির সদস্যরা বলছেন, সেই সময় সংস্থার সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হয়েছিল।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের জানান, এ বিভাগে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের (প্রশিক্ষণ/কর্মশালা/ সেমিনার ইত্যাদি) বিবরণ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে এ সফরের প্রভাব-সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়। এ বিভাগের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর নিরুৎসাহিত এবং বিদেশ সফরে যাতে সরকারের অর্থের অপচয় না হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে বিদেশ সফরের পর একটি প্রতিবেদন নিজ নিজ সংস্থার কাছে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

একই কমিটিতে দুই ধরনের তথ্য উত্থাপন বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির জানান, আগে সংস্থা কম দেখানো হয়েছিল। এবার সবগুলো দেখানো হয়েছে। সংসদীয় কমিটি সতর্ক করে দিয়েছে কমিটিতে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের তথ্য যাতে উপস্থাপন না করে সেজন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, বৈঠকে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা পূরণে আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে শুধু ভারত থেকে নয়, প্রয়োজনে মিয়ানমার থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস আমদানি করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম এবং বেগম নার্গিস রহমান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *