কক্সবাজারে জোড়া সেঞ্চুরি : এনামুল বিজয়ের


বেশ কিছু ম্যাচ ধরেই রানখরায় ভুগছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। বাংলাদেশ ‘এ’ দল, জাতীয় দল, বিসিবি একাদশ কিংবা জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা বিভাগ- কোনোখানেই রানের দেখা মিলছিলো না তার ব্যাটে।

অবশেষে রান পেয়েছেন বিজয়। শুধু রান পেয়েছেন বললে ভুল হবে। একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করে নিজের ফেরার দারুণ এক বার্তাই দিয়েছেন তিনি। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১২৬ ও দ্বিতীয় ১৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বিজয়।

এনামুল বিজয়ের এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর অবশ্য জয় পাওয়া হয়নি খুলনা বিভাগের। ঢাকার দুই টেলএন্ডার নাজমুল ইসলাম অপু ও সুমন খানের দৃঢ়তায় জয়বঞ্চিত হয়েছে টেবিল টপার খুলনা। জয়তুল্য এক ড্র’ই পেয়েছে ঢাকা বিভাগ।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল খুলনা ও ঢাকা। তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করেছিল খুলনা। এনামুল বিজয় অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে।

আজ (মঙ্গলবার) ম্যাচের শেষ দিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২০তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। অপরাজিত ছিলেন ১৫১ রান করে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ইনিংসটিতে ৯টি চারের পাশাপাশি ৮টি বিশাল ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া ইমরান উজ জামান ৬৬ ও নুরুল হাসান সোহান ৬১ রান করেন।

প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানের লিড পাওয়া খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে ৩ উইকেটে ৩০১ রান করে। দিনের বাকি থাকা ৫৭ ওভারে ঢাকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৭ রানের। লাল বলের ক্রিকেটে যা কি না অসম্ভবই বলা চলে। ফলে জয়ের চেষ্টা না করে ড্রয়ের উদ্দেশ্যেই খেলতে থাকে ঢাকা বিভাগ।

কিন্তু ভিন্ন চিন্তাই ছিলো খুলনার। বিশেষ করেন ডানহাতি অফস্পিনার মেহেদি হাসান একাই কাঁপিয়ে দেন ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংস। ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৪ ওভারের মধ্যে ৪৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

এরপর নাদিফ চৌধুরী ৩৭ রান করে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দেন। তবু দলীয় ৯৭ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নাদিফ যখন আউট হন, তখন দিনের বাকি প্রায় ১৫ ওভারের বেশি। এ সময়ের মধ্যে বাকি ৩ উইকেট নিতে পারলেই জিতে যেত খুলনা। কিন্তু নাজমুল অপু ও সুমন খান মিলে বাকি সময় কাটিয়ে দেয়ায় জয় পাওয়া হয়নি শক্তিশালী দলটির।