জেনে নিন যেসব খাবার খেলে শিশু দ্রুত লম্বা হবে


একজন মানুষ কতটা লম্বা হবে তা নির্ভর করে জিনের উপর। তবে এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং শরীরচর্চার মতো বিষয়গুলিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির জন্য খেয়াল রাখুন তার খাবারের তালিকায়ও। বর্তমান ব্যস্ত সময়ে শিশুর বায়না মেনে চলতে গিয়ে তাকে ফাস্ট ফুডে অভ্যাস্ত করে ফেলছেন অনেক মা-বাবাই। এটি শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। তাই শিশুর পাতে দিন পুষ্টিকর ও ঘরে তৈরি খাবার। জেনে নিন কোন খাবারগুলো খেলে শিশু দ্রুত লম্বা হবে

মাছ: শিশুকে ছোট মাছ বেশি খাওয়ান। অভ্যাস করুন নিজের হাতে কাঁটা বেছে খাওয়ার। মাছ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। শিশুর উচ্চতাও বাড়বে দ্রুত।

ডিম ও মুরগি: মাংসপেশির গঠনেও প্রোটিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর খাবার তালিকায় রাখুন ডিম। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশ এবং সেদ্ধ বা গ্রিলড চিকেন। শারীরিক বিকাশে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণিজ প্রোটিন সাহায্য করে দেহের নতুন টিস্যু গঠনে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু তৈরি করতে

সবুজ শাকসবজি: শিশুদের ভালো রাখতে তরিতরকারির কোনো বিকল্প নেই। শিশুর খাবার তালিকায় যতটা বেশি সম্ভব শাক-সবজি রাখুন। আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, ভিটামিন এ এবং অন্যান্য খনিজে ভরপুর তরকারি শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।

সয়াবিন: আপনি যদি নিরামিষাশী হন, তা হলে প্রোটিনের জন্য খেতেই হবে সয়াবিন। শিশুদেরও ছোট থেকে সয়াবিন খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। স্বাদের দিক দিয়ে মাংসের কাছাকাছি হওয়ায় শিশু অনেকসময় সয়াবিন খেতে পছন্দ করে।

ডাল: শিশুকে নানারকমের ডাল খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। একেকদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একেকরকম ডাল রাঁধুন। এমনকী দুই-তিন রকম ডাল মিশিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন।

ফল: শিশুকে মৌসুমী ফলসহ সবরকম ফল খেতে দিন। ফলের রসের বদলে শিশুকে আস্ত বা কাটা ফল কামড়ে খেতে দিন। এতে পুষ্টিকর ফাইবার ডায়েট থেকে বাদ পড়বে না। দাঁতের গঠনও ভালো হবে।

দুধ: মাংসপেশির গঠন এবং হাড় মজবুত করার জন্য দুধের কোনো বিকল্প নেই। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস দুধ। শুধু দুধ খেতে না চাইলে পুডিং, কাস্টার্ড, মিল্কশেক, চিজ, নিদেনপক্ষে টক দই রাখুন শিশুর খাবার তালিকায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *