সুন্দরবন যেন বাংলাদেশের মায়ের আঁচল


মায়ের আঁচলের মতো ঢাল হয়ে আবারও খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূলকে বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত বুকে ধারণ করায় ব্যাপক ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।

শনিবার দিবাগত গভীর রাতে সুন্দরবনে আঘাতহানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ভোর ৫টায় সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করে। এ সময় থেমে থেমে তীব্র দমকা হাওয়া বয়ে যায় ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে।

এই ঝড়ে খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় কয়েক হাজার কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি-ঘর পড়ে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

কয়রার বেদকাশী এলাকার বাসিন্দা সুভাষ দাস বলেন, বুলবুলের প্রভাব ঠেকিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন। না হলে আরও অনেক ক্ষতি হতো।

উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবন না থাকলে ২০০৭ সালের সিডরের তাণ্ডবের মতোই ভয়াবহ হতো বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি।

তিনি বলেন, বুলবুলের আঘাতে অনেক কাঁচা ঘর ও গাছপালা উপড়ে যাওয়ার যেমন আশঙ্কা করা হয়ছিল, তা হয়নি শুধু সুন্দরবনের কারণে।

উল্লেখ্য, অতি প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় `বুলবুল’ বঙ্গোপসাগর দিয়ে মূলত বাংলাদেশের স্থলভাগে প্রবেশ করে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের একপাশে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, আর তিন পাশে সুন্দরবন। সুন্দরবন অতিক্রম করতে দীর্ঘসময় লাগায় ঘূর্ণিঝড়ের গতি কমে যায়। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়ে ‘বুলবুল’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আঘাত করতে পারেনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *