যশোরে চিকিৎসকের অবহেলায় অপারেশনের টেবিলে ময়না বেগম (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে শহরের বন্ধন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলা করা হয়েছে।
ময়না বেগম যশোর শহরের নতুন খয়েরতলা এলাকার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ এক ডাক্তারসহ দুইজনকে আটক করেছে।
ময়না বেগমের স্বজন হারুন অর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ময়না বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে প্রথমে কুইন্স হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক সেবিকা তাদের ভুল বুঝিয়ে সামনের বন্ধন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। মধ্যরাতে তড়িঘড়ি করে সেখানে ডা. পরিতোষ কুমার কুন্ডু ময়নার সিজার করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় অপারেশনের টেবিলেই ময়নার মৃত্যু হয়। এরপর ডাক্তার ও ক্লিনিকের ম্যানেজার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ‘রোগীর অবস্থা ক্রিটিক্যাল’ বলে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে খুলনায় পাঠানোর চেষ্টা করে। স্বজনরা বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডা. পরিতোষ কুমার কুন্ডু ও ক্লিনিকের ম্যানেজার আকরাম হোসেনকে আটক করে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ময়না বেগমের স্বামী ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ডা. পরিতোষ কুমার কুন্ডু গাইনি বিশেষজ্ঞ না হয়েও সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে ময়নাকে মেরে ফেলেছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ক্লিনিক ম্যানেজার ও ডাক্তারকে আটক করেছে।