ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত ও আরও ৪৮ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাগদাদের কাছের দুটি সেতু বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী ও মেডিক্যাল সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাগদাদে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও গোলাবারুদ নিক্ষেপ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে; আহত হয়েছেন ৪৮ জন।
গোলাবারুদ এবং টিয়ারগ্যাস সরাসরি বিক্ষোভকারীদের মাথা লক্ষ্য করে ছোঁড়ায় ওই চারজনের প্রাণ গেছে। এর আগে দেশটির পুলিশ জানায়, বাগদাদের সিনাক সেতুর কাছে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। অপর একজনের প্রাণহানি ঘটেছে আহরার সেতু সংলগ্ন এলাকায়।
এছাড়া গুরুতর আহত দু’জনের প্রাণ গেছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এদের মধ্যে একজনের মাথায় গুলি ও অপরজনের মাথায় টিয়ারগ্যাস আঘাত করেছে।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, কয়েকজন গোলাবারুদের কারণে এবং বাকিরা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
দেশটিতে বেকারত্ব, দারিদ্র, দুর্নীতি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও ক্ষমতাসীন সরকার বিদেশিদের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ এনে গত প্রায় এক মাস ধরে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ জনগণ। ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনের পতনের পর ইরাকে এত বড় এবং টানা বিক্ষোভ কখনই দেখা যায়নি।
অক্টোবরের শুরুর দিকে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহর থেকে সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হলেও পরবর্তীতে দেশের অন্য প্রান্তেও মানুষ রাস্তায় নামে। যার ঢেউ লেগেছে দেশটির রাজধানী বাগদাদেও। অক্টোবরে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে সহিংসতা এখন পর্যন্ত ৩ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
সূত্র : রয়টার্স।