২১ নভেম্বর সসস্র বাহিনী দিবস। আশির দশকের মাঝাাঝি সময় থেকে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে দিবসটি পালন করে আসছে। সসস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়াই এই দিবসের মূল তাত্পর্য। প্রথম বারের মতো এই দিবসটি পালিত হয়েছে প্যারিসে। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ইতিহাস ঐতিহ্য আর গৌরবের এক নাম বাংলাদেশ সসস্র বাহিনী। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সেদিন থেকেই দিবসটি গুরত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দেশের সাথে মিল রেখে এই প্রথমবার প্যারিসে উদযাপন করা হয়েছে সসস্র বাহিনী দিবস। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এর বল রুমে ডিফেন্স উইং এর উদ্যোগে, বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, প্রতিরক্ষা এটাচে, ফ্রান্স সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ, সুশীল সমাজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গসহ প্রায় দুইশত অতিথি উপস্থিত ছিলেন। প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতিরক্ষা শাখার উপদষ্ঠা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোহসীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর ডিফেন্স এটাচে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। মুক্তি সংগ্রাম, আব্যন্তরিন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সসস্র বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
তিনি স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তিরিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগকে এবং স্মরণ করেন সাত জন বীরশ্রেষ্ঠসহ সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহীদদের। সবশেষে অতিথিরা নৈশ ভোজে অংশগ্রহণ করেন। নৈশভোজ চলাকালীন “উদীয়মান বাংলাদেশ এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন”, “সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ এম্ফিবিয়াস অনুশীলন” এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।