টেস্টে ভারত এক নম্বর দল। তাদের ঘরের মাঠে তাদেরই হারিয়ে দেবে বাংলাদেশ, এমনটা আশা করেননি টাইগার সমর্থকরাও। তবে ন্যুনতম লড়াইয়ের আশা তো ছিলই। বাংলাদেশের এই দলটি যে গত কয়েক বছরে সমীহ জাগানো এক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু টেস্ট সিরিজে সেই লড়াকু মানসিকতার ছিঁটেফোটাও দেখা গেল না। উল্টো দুটি টেস্টই আড়াই দিনের মধ্যে ইনিংস ব্যবধানে হারলো টাইগাররা। এর মধ্যে ইডেন টেস্টটা ছিল ঘটনাবহুল। কিছু আফসোসও রয়ে গেছে এই টেস্টের ফলে।
টাইগার সমর্থকদের বেশিরভাগই মনে করেন, একটু পরিকল্পনা সাজিয়ে এগুলে কমপক্ষে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জায় পড়তে হতো না ইডেনে। টস থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজম্যান্টের সকল পরিকল্পনাতেই ছিল দূরদর্শিতার অভাব।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গোলাপি বলে প্রথমবারের মতো খেলা, কেমন আচরণ করবে জানা নেই। তারপরও ব্যাটসম্যানদের কেন ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের সামনে শুরুতেই উম্মুক্ত করে দেয়া?
এতো গেল টসের সিদ্ধান্ত। আরও একটি বিষয় নিয়ে জোর আলোচনা হচ্ছে। ইডেন টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস এবং ৪৬ রানের ব্যবধানে। যে টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ চোটে পড়ায় সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন তিনি।
প্রথম ইনিংসে তো আরও লেজেগোবড়ে অবস্থা হয়েছিল। লিটন দাস আর নাইম ইসলাম-দুজন খেলোয়াড় আঘাত পেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন। নতুন নিয়মে লিটন দাসের বদলে একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান নামাতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু হাতে সেই অপশনই ছিল না। স্কোয়াডের ১৫ সদস্যের মধ্যে স্পেশালিস্ট কোনো ব্যাটসম্যানই অবশিষ্ট ছিলেন না। সাইফ হাসান তো টেস্ট শুরুর আগেই চোটে পড়েন।
কিন্তু সাইফের চোটেও টনক নড়েনি। বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান দরকার হতে পারে, এমনটা ভাবেইনি টিম ম্যানেজম্যান্ট। ফলে লিটনের স্থলাভিষিক্ত করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজের মতো লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। এমন বড় বড় কয়েকটা ভুল চোখে পড়েছে সমর্থকদের।
এবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলেন, এমন এক সিরিজে ১৫ জনের বেশি খেলোয়াড় নিয়ে যাওয়া যেতো না কি? জবাবে উল্টো সাংবাদিকদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন বিসিবি বস।
তিনি বলেন, ‘১৫ জনের বেশি? নিতে পারতাম। এর আগে নিয়েছিলাম। আর আপনারা অনেক লেখালেখি করেছিলেন এটার বিরুদ্ধে-কেন এত প্লেয়ার নিয়ে যাচ্ছি? আমার মনে আছে এখনো।’