অনুসন্ধানী সাংবাদিক ডাফনে কারুয়ানা গালিজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হওয়ায় অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইউরোপের দেশ মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকাট। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে আগামী জানুয়ারিতে ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি তাদের নতুন নেতা নির্বাচিত করা পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।
লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর টেলিভিশন ভাষণে মাসকাট তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি কারুয়ানা গালিজিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের গভীর অনুশোচনার কথা জানিয়ে বলেন, দেশের একটা নতুন সরকার প্রয়োজন।
২০১৭ সালে গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন নারী সাংবাদিক ডাফনে কারুয়ানা গালিয়াজা। দেশটির প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছিলেন তিনি। তাই তার হত্যাকারীদের পুরস্কৃতও করা হয়। ডাফনের ছেলের দাবি, তার মায়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জড়িত।
অভিযোগ, দুর্নীতির সেসব ঘটনা যেন ফাঁস না হয় তাই সরকার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। আরও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী মাসকাটের চিফ অব স্টাফও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। মাসকাট আজ বলেছেন, ‘ওই ঘটনার সমস্ত দায়ভার আমার।’
ছয় বছর ধরে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাসকাট। দুবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুবারই বিপুল ব্যবধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে ছোট দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। তবে এই হত্যাকাণ্ডে তার প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা এবং তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করে দেশটির মানুষ।