বড় জয়ের পরও ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা


ব্যবধানগত তারতম্য যদিও ১০৯ রানের। প্রতিপক্ষ মালদ্বীপও অলআউট হয়েছে মাত্র ৬৫ রানে। টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশের সাথে মালদ্বীপের মতো আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের যেমন ফল হওয়া উচিত তাই হয়েছে।

ব্যবধানগত তারতাম্যও প্রায় ঠিকই আছে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিশেষ করে বোলিংটাকে মানদণ্ড ধরলে যথেষ্ট ভালো। বাঁ হাতি স্পিনার তানভির ইসলাম একাই ৫ উইকেট দখল করেছেন। লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি আর অফ স্পিনার আফিফ হোসেন পেয়েছেন দুটি করে। স্লো মিডিয়াম সৌম্য সরকারের দখলে এক উইকেট।

প্রশ্ন উঠেছে ব্যাটিং নিয়ে। কারণ কারো সেঞ্চুরি বহু দূরে, একটি ফিফটিও করতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৪৭ নাজমুল হোসেন শান্তর। সৌম্যর ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪৬।

মালদ্বীপ তো আর নেপাল নয় যে এশিয়া কাপে প্রায় অংশ নেয়। সন্দিপ লামিচানের মতো একজন মেধাবী লেগস্পিনারও আছেন। তাদের কিছু নেই। একঝাঁক আনকোরা, অখ্যাত ও অনভিজ্ঞ এবং কোন পর্যায়ে না খেলা ক্রিকেটারে গড়া এক দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কি ২০ ওভারে আড়াইশ বা ২২০-২৩০ রান করতে পারলো না? কেউ একজন ৪০-৫০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারলেন না?

এটা যে রীতিমতো ব্যর্থতা! কেন সেই না পারা? কি কারণে একজনের ব্যাট থেকেও হাফ সেঞ্চুরি এলো না? কেনই বা শান্ত ও সৌম্য চল্লিশের ঘরে আউট হয়ে গেলেন? বাংলাদেশের স্কোর লাইনই বা কেন ২০০ প্লাস হলো না?

এসব জানতেই মুঠোফোনে কথা হলো এসএ গেমস ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হাবিবুল বাশার সুমনের সাথে। বাশারের সোজা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা, ‘যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেটা মোটেই ভালো নয়। এসএ গেমস ক্রিকেট তো নয়ই, বাংলাদেশের জেলা স্টেডিয়ামগুলোর উইকেটের মানেরও না।’

উইকেট ভালো ছিল না বলেই ব্যাটিং এমন হয়েছে বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘উইকেট ভালো ছিল না বলেই ব্যাটিংটা এমন ফ্যাকাসে মনে হয়েছে। তবে এটুকু বলতে পারি শান্ত আর সৌম্য ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করেছে। ওদের ইনিংসগুলোকে ৪৫ প্লাস না ধরে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ রান বেশি করে ধরা উচিত। কিংবা তারও বেশি। আমার মনে হয় ভালো পিচে খেলা হলে সৌম্য আর শান্ত দুজনই ৭০ এর ওপর রান করতো। উইকেটের কারণে স্বাচ্ছন্দ্যে ও হাত খুলে খেলা সম্ভব হয়নি।’

বাশারের কথা সত্য ধরে চিন্তা করলে দেখা যাবে, নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৌম্য সরকারের ৪৫ প্লাস ইনিংস দুটি ৭০ প্লাস হলে আপনা আপনি আরও ৫০-৬০ রান বেড়ে যেত। তার মানে আগে ব্যাট করলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়াত ২৩০-এর ঘরে।

সেটাই হতো স্বাভাবিক। এখন ১৭৫ রানকে কম মনে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন মালদ্বীপ। তখন বেশ কম বৈকি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *