দেশে বর্তমানে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (ই-টিআইএন) সংখ্যা ৪৬ লাখের ওপরে। সব ই-টিআইএনধারীরই প্রতি বছর তাদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব বা আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। এর মধ্যে যাদের করযোগ্য আয় আছে, কেবল তাদেরই আয়কর জমা দিতে হয়।
গত ১ ডিসেম্বর ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগ প্রাথমিক হিসাবে দেখেছে, রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ২২ লাখেরও কম। অর্থাৎ, ই-টিআইএনধারীর মধ্যে অর্ধেকও তাদের আয়কর বিবরণী জমা দেন নি। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিভিন্ন আলোচনায় জানিয়েছিলেন, গত করবর্ষে রিটার্ন জমা হয়েছিল ২২ লাখ। সেই হিসাবে এবার রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা বাড়েনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের অর্থদণ্ড রয়েছে। তা সত্ত্বেও করদাতার সংখ্যা না বাড়ায় চিন্তিত খোদ এনবিআর।
এনবিআর সূত্র জানায়, করদাতাদের একটি অংশ নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা দিতে না পারায় পরে জমা দেবেন বলে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। এই সংখ্যা লক্ষাধিক। তাদের সম্ভাব্য রিটার্ন দাখিলকারী হিসাব করেই মূল সংখ্যা প্রায় ২২ লাখে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে গত বছর ২২ লাখ বলা হলেও এই সংখ্যা আসলে ২০ লাখের মতো ছিল। সেই হিসাবে এবার রিটার্ন দাখিলকারী বেড়েছে।
সূত্র আরও জানায়, গত বছর আয়কর দিবস পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের বিপরীতে কর আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। আর এবার কর আদায় হয়েছে ২৪ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। কর আদায় বেড়েছে ১৩ শতাংশ। অবশ্য এনবিআর আশা করছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল ২৩ লাখ হতে পারে।