আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যারা মারামারি করে কলহ তৈরি করে, তারা দলে বিশৃঙ্খলা করতে এসেছে। বসন্তের কোকিলকে নেতা বানানো যাবে না। দুঃসময় এলে তাদের পাঁচ হাজার বোল্টের বাতি দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মনে রাখবেন, কর্মীরাই একদিন নেতা হবে। যে নিজেকে নেতা দাবি করে, সে কখনও নেতা হতে পারবে না। যাদের ব্যানার-পোস্টার বেশি তারা নেতা হতে পারে না। তারা ব্যানার-পোস্টারেই সীমাবদ্ধ থাকে।’
প্রসঙ্গত, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই পদপ্রত্যাশী দুই সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এতো আঘাত, রক্তপাত ও সংঘাত সহ্য করে এগিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। যারা ভাবেন একটা ধাক্কা দিলে আওয়ামী লীগ পড়ে যাবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আমরাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আওয়ামী লীগের কর্মী। তাই আমাদের কেউ রুখতে পারে না। আমরা এগিয়ে যাবোই যাবো।’
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মাহফুজুর রহমান মিতাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকরা।