দফায় দফায় দাম বেড়ে রাজধানীসহ দেশের বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি দামি পণ্যের তালিকায় শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে পেঁয়াজ। দামের দিক থেকে এ মসলা পণ্য যেন এখন অপ্রতিরোধ্য। দাম নিয়ন্ত্রণে এবং এ পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও কোনো ফল মিলছে না। বরং কয়েক সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে চলেছে প্রতিকেজি ২৫০ টাকা বা তার কিছুটা কম-বেশি দরে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বলেন, পেঁয়াজ সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে আমদানির ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবারও (৫ ডিসেম্বর) ৪ হাজার ১৫৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে দেশে। এরমধ্যে টেকনাফ হয়ে এসেছে ১ হাজার ২২৯ মেট্রিক টন এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে এসেছে ২ হাজার ৯৩২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
লতিফ বকসী জানান, যে পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার আমদানি হয়েছে, তার মধ্যে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন, চীন থেকে ৩৮৪ মেট্রিক টন, মিশর থেকে ৮৪ মেট্রিক টন এবং তুরস্ক থেকে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন এসেছে। দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ মূল্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ প্রতিদিন আমদানি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। তবে এ বছর ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বেশ কিছুদিন আগে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানিই বন্ধ ঘোষণা করে। এই অবস্থায় বাজারে সংকট তৈরি হলে বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।